রাবি ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি ছাত্রলীগের

রাশেদ রাজন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রলীগ। ছাত্রী ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় অভিযুক্ত অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান সারদসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে তারা এই দাবি জানায়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যে নির্যাতিত হয়েছে সে আমাদেরই মেয়ে, আমাদেরই বোন। আমরা যদি তাঁর পাশে না দাঁড়ায় তাহলে কে দাঁড়াবে? আমাদের সর্বদা নির্যাতিতার পাশে থাকতে হবে। সামাজিকভাবে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। বন্ধু নির্বাচনেও মেয়েদের সচেতন হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিশ্বাস রাখতে হবে।

এসময় ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ধর্ষণের দায় শুধু নারীর নয়, এ দায় ধর্ষকের, সমাজের, রাষ্টের। ধর্ষকের কোন ধর্ম, বর্ণ, জাত নেই। ধর্ষকের পরিচয় শুধুই ধর্ষক। তার শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্টের দায়িত্ব।

ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, ধর্যণের বিরুদ্ধে শুধু আইন নয়, আইনের দ্রুত কার্যকর ও সামাজিক প্রতিরোধ গরে তুলতে হবে। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ দূর করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদাউস, বিশ্ববিদ্যাল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, হাবিবুল্লাহ নিক্সন, মেজবাহুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল, উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দুর্জয় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান সারদ (২২) ও কয়েকজন বন্ধু মিলে তার বান্ধবীকে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকার এক মেসে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করে।