নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পরীক্ষায় ভাল করতে না পেয়ে আরো এক এস.এস.সি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম সেলিম রেজা (১৬)। সে উপজেলার ঝিকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মরুগ্রামের মেহের আলী ছেলে। ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারী কাঁঠালবাড়ি গ্রামের ফারহানা নামে আরো এক এস,এস,সি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মরুগ্রামের মেহের আলীর ছেলে সেলিম রেজা গত মঙ্গলবার উপজেলার সাঁকোয়া শিকদারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়। ওই দিন গনিত পরীক্ষায় ভাল করতে না পেরে সে বাড়িতে ফিরে আসে। রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে শুয়ে পড়ে। এবং সবার অজান্তে সেলিম রাতের কোন এক সময়ে শয়ন ঘরের তীরের সঙ্গে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। গতকাল বৃধবার সকালে বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখতে পায়। এবং বাড়ির লোকজনের চিৎকারে পাড়ার লোকজন জড় হয়ে গলার ফাঁস কেটে তাকে মৃতবস্থায় মাটিতে নামিয়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশটির সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। পরিবার ও এলাকার লোকজনের অভিযোগ না থাকায় পুলিশ সেলিম রেজার লাশটি দাফনের অনুমতি দেন। এছাড়াও একই ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের ফারহানা (১৬) নামের আরো এক এস,এস,সি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। সে কাঁঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষে ফারহানা বাড়ি ফিরে যায়। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে বুঝিয়ে শান্তনা দেয়। পরে রাতের কোন এক সময় ফরাহান ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কাঁঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, ফারহানা ছিল ক্লাসেরর মেধাবী ছাত্রী। এর আগে সে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। তবে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন ফারহানার খাতা কেড়ে নেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান দুইটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে একজন ছাত্রী ও একজন ছাত্র(এস,এস,সি পরীক্ষাথী) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবার ও গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় মৃতদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।