নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা আÍসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন সমাজকর্মী ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে। উপজেলার সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় শিক্ষা উপবৃত্তির সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ গ্রহণ করেন তিনি।
জানা যায়, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য অনগ্রসর শিক্ষার্থী হিসেবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন করেন কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তৃপ্তি রাণী হালদার ও প্রিয়তম কুমার হালদার। ভুক্তভোগী ওই দুই শিক্ষার্থী জানান, উপবৃত্তির তালিকায় তাদের নাম এসেছে এবং চেক প্রদান করা হবে এমন খবর নিয়ে তাদের বাড়িতে যান উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী ইকবাল হোসেন। এরপর শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক টাকা দাবি করেন এছাড়া উপবৃত্তির টাকা পেতে তাদের সমস্যা হবে বলে জানান ওই সমাজ কর্মী।
এরপর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা নিতে গেলে তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিস। শিক্ষার্থীরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হলে তাকে জানানোর কথা বলেন সমাজ কর্মী ইকবাল হোসেন । যথারীতি ওই শিক্ষার্থীরা টাকা উত্তোলন শেষে ইকবাল হোসেন কে মুঠোফোনে জানালে, ইকবাল হোসেন তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার করে দুজনের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দাবী করেন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইকবাল হোসেন ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫ হাজার করে দশ হাজার টাকা গ্রহন করেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর কথা বলেন। এছাড়া এই বিষয়ে কাউকে জানালে পরবর্তীতে উপবৃত্তির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি প্রদান করা হয়। তবে এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সমাজকর্মী ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অর্থ গ্রহনের বিষয় অস্বীকার করেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমি এ বিষয়ে লোকমুখে শুনেছি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।
লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নাটোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত না। তবে এমন অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।