নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে আদালতের রায় পেয়েছে এমন পোষ্টারিং করে অভিনব কায়দায় জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর দাবি অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতের রায় না পেয়েই জমিটি দখলের চেষ্টায় এলাকায় পোষ্টারিং করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় সিলমাদার গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার শিলমাদার গ্রামের মৃত জব্বার মন্ডলের ২ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রীর কাছ থেকে একই গ্রামের আবেশ আলী মাষ্টার সাড়ে ৯ শতক ধানী জমি ক্রয় করে। জমিটি রেজিষ্ট্রীর পর থেকে ভোগদখল করে আসছে আবেশ আলী মাষ্টার। হঠাৎ করে ২০১৬ সালে মৃত জব্বার মন্ডলের ভাতিজা মোজাহার আলী ও নুর ইসলাম ওই জমি তাদের বলে দাবি করে গ্রামে একটি বৈঠক ডাকে । কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। এরপর ওই জমি মৃত জব্বার মন্ডলের ভাতিজা মোজাহার আলী ও নুর ইসলাম জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। এসময় মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছিলেন আবেশ আলী মাষ্টারের পরিবারের লোকজন। শিলমাদার গ্রামের আবেশ আলী মাষ্টারের ছেলে মো: গোলাম মোস্তফা জানান,এই জমিকে কেন্দ্র করে নওগাঁ আদালতে মামলাও করেছে আমার বাবা । যে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়াও এই জমি মৃত জব্বার মন্ডলের ভাতিজা মোজাহার আলী ও নুর ইসলাম বার বার জŸর দখল করার চেষ্টা করলে ১৪৪ ধারা একটি মামলাও করেছে আমার বাবা। এরপরেও তারা জমিটি জŸর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ওই জমির কোন সুরহা না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুই পক্ষকে জমিতে যেতে নিষেধ করা হয়। আমরা সেই থেকে আর ওই জমিতে যাইনি। আগামী ১৭ মে ইং তারিখে আদালতে মামলার ধার্য্য তারিখও আছে । কিন্তু অভিনব কায়দায় জমি দখল করার চেষ্টায় হঠাৎ করে নুর ইসলাম গত কয়েকদিন আগে মামলা নাম্বার,ইনজেকশান নাম্বার, মিস কেচ নাম্বার দিয়ে জমিটি ইসলামের পক্ষে ডিগ্রী হয়েছে এমনটি লিখে আবাদপুকুর বাজার, আবাদপুকুর-আদমদিঘী রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ও সিলমাদার গ্রামে এবং বনপুকুর গ্রামে ওয়াল গাছ বা বিভিন্ন স্থাপনায় পোষ্টারিং করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করে ওই মিথ্যা অপপ্রচার কারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুর ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওই জমিটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আবেশ আলী মাষ্টার জমিটি কিনেছে। কিন্তু জমিটা আমাদের। আমরা মামলার রায় পেয়েছি তাই এলাকার লোকজনকে জানানোর জন্য পোষ্টারিং করেছি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই বা আমাকে কিছু জানাইনি।