বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি আজ সোমবার জরুরি বৈঠকে বসছে। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসন শূন্য হওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নানা অনিয়মের কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। গত সপ্তাহে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এই নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দেন স্থায়ী কমিটির নেতারা।
আজ এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও চিকিৎসাসহ সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে জোটের সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জোট নেত্রীর মুক্তির জন্য সব প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা তার মুক্তির চেষ্টা করেছি। প্রশাসন চাইলেই তার (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু করছে না। সে ব্যাপারে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কথা বলেছি।’
‘আন্দোলনের বিভিন্ন প্রোগ্রামও হয়েছে। আগামী দিনে যে প্রক্রিয়ায়, যেভাবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব, নিশ্চয় ইনশাল্লাহ সেটাই হবে এবং ২০ দলীয় জোট সেই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোট আলোচনা করেই কর্মসূচি দেবে’ বলেও জানান জোটের সমন্বয়কারী।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪, বগুড়া-১, যশোর- ৬ ও ঢাকা-১০ শূন্য আসনে ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ঢাকা ১০ থেকে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করেছেন। বাকিরা মারা যাওয়ায় আসন শূন্য হয়েছে।