পাবনার সাঁথিয়া মাদকে সয়লাব। র্যাব, ডিবি ও থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার করছে মাদক বিক্রেতাদের। উদ্ধার করছে গাজা, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক। ২৬ জানুয়ারী আতাইকুলা বাজার থেকে র্যাবের অভিযানে ৬২ কেজি গাজাসহ মিনি ট্রাক আটক, ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গনেশপুর থেকে ডিবি পুলিশ ৫০০ পিস ইয়াবাসহ বকুল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ ছাড়াও জানুয়ারী মাসে সাঁথিয়া থানায় ১৯ মাদকের মামলায় ২৬৯ পিস ইয়াবা, প্রায় ৫কেজি গাজা, হেরোইন উদ্ধার হয়। আইন শংখলা বাহিনী যে ভাবে মাদকের চালান আটক করছে তাতেই বুঝা যায় উপজেলায় কত টুকু জমজমাট মাদকের ব্যবসা। গ্রামে নিরাপদ ভেবে ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ও গাঁজা পানির মত বিক্রয় করছে প্রত্যেন্ত অঞ্চলে। স্কুল কলেজ পড়–য়া যুবকরা নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদকে আসক্ত হয়ে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সেবনকারীর সংখ্যা। বিষাক্ত তীরের ফলার মতো ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে অভিভাবকদের হৃদয়।
সাঁথিয়ায় যেন মাদক বিক্রেতাদের ট্রানজিট পয়েন্ট। ঈশ্বরদী, নগরবাড়ী, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর ও বগুড়া থেকে দুরপাল্লার বাসে-ট্রাকে আসছে এই মাদক। ৩৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সাঁথিয়ার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকাসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রায় ২৫টি স্পটে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাজাসহ রকম রকম মাদক অবাধে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র জানায় উপজেলার আতাইকুলা, বৃহস্পতিপুর, বনগ্রাম, মিয়াপুর, রসুলপুর, কাশিনাথপুর, শহিদনগর, সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ড, করমজা, ধুলাউড়ি, চৌবাড়িয়া, ভায়নাপাড়া, গনেশপুর, হাটবাড়িয়া বাজার, গৌরিগ্রাম, নন্দনপুর, বোয়াইমারীসহ প্রায় পঁচিশটি স্পটে মাদক বিক্রি হচ্ছে। মাদক মহাজনদের রয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ফড়িয়া। বিশেষ কমিশনে এরা বাসস্ট্যান্ড, বাজার, চা দোকান, ও মোড়ে মোড়ে বিক্রি করছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান মুঠো ফোনে বলেন মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানে গ্রেপ্তার করছি, অভিযান চলবে। তারা জেল থেকে বেড়িয়ে এসে আবার শুরু করে এই মরণ নেশায়। সামাজিক সচেতনতা যতদিন না রাড়বে ততদিন সামাজিক অবক্ষয় রোধ সম্ভব নয়। আমরা আইনশৃংখলা রক্ষার্থে সার্বিক চেষ্টা করছি।