পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নে সুজাপুর-কদমতলীহাট রাস্তার রতœাই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত ৯৬.২০ মিটার পিসি গাডার ব্রীজ নির্মাণের প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ১৫টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকিতে ব্রীজটি পারপার হচ্ছে গ্রামগুলোর হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের সুজাপুর-কদমতলীহাটের সংগোগের জন্য রতœাই নদীর উপরদিয়ে নির্মিত ব্রীজটির কাজ শেষ হয় প্রায় ২ বছর আগে। কিন্তু ঠিকাদারে অবহেলায় দুইপাশে সংযোগ সড়কের কাজ এখরও শেষ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্থানীয় লোকজন।
সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আরশেদ আলী ও রুবেল হোসেন জানান, ব্রীজ দিয়ে আশপাশের প্রায় ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ব্রীজটি নির্মাণের ২ বছর পার হলেও এর উদ্ধোধন করা হয়নি। নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই ঝুঁকি থাকলেও বাধ্য হয়ে তারা চলাচল করছে। এসময় এলাকাবাসী আরও জানান, এই ঝুঁকির কারণে মাঝে মধ্যেই এখানে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।
সুজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কেল আলী জানান, গ্রামের মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে আটঘরিয়া-চাটমোহর উ্পজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতাযাত করে। এই ব্রীজ দিয়ে কদমতলী মহিলা মাদরাসা, ফৈলজানা উচ্চ বিদ্যালয় ও সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার সাধারন মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করেন। কিন্তু সংযোগ সড়কবিহীন এ ব্রীজের দুই পাশে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটে।
করিমন চালক আজিজুল হক জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় মালামাল নিয়ে ব্রীজটিতে উঠতে চিড়ম্বনায় পড়তে হয় আমাদের। তাই সুজাপুর সহ আশপাশের হাজার হাজার ভুক্তভোগি মানুষের প্রাণের দাবি দ্রæত ব্রীজটির সংযোগ সড়ক নিমার্ণ করা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রন্তাই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত ব্রীজটির দৈঘ্য ৯৬ দশমিক ২০ মিটার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১২২ টাকা। তবে শীঘ্রই এই ব্রীজের সংযোগ সড়ক নিমার্ণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযা।