কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুম মিয়া ও তার বাহিনীর অত্যাচারে প্রায় দেড় বছর যাবত বাড়িছাড়া বাচ্চু ও তার পরিবার। লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, অষ্টবর্গ এলাকার মৃত নূর ইসলামের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মাসুম মেম্বার জোর পূর্বক স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে একই এলাকার মৃত আমির হোসেনের পুত্র বাচ্চু মিয়ার বসতবাড়ি, পুকুর ও ফলের বাগান দখল করে নিয়েছে। ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া মাসুম মেম্বারের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ মাসুম মিয়ার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। থানা পুলিশের অবহেলার কারণে বাচ্চু মিয়া কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পায়নি। অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী জানান মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে রাস্তা নির্মাণের কাজ করার সময় জোরপূর্বক বাচ্চু মিয়ার জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে। এতে বাধা প্রদান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুম মেম্বার প্রথমে তার বাড়ির পল্লী বিদ্যুতের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করায়। তার প্রতিবাদ করায় মাসুম মেম্বার ও তার লোকজন ১। হৃদয় মিয়া (২৪), ২। খলিল মিয়া (১৯), ৩। মহসিন (৫৬), ৪। রতন মিয়া (৪৫) দের সহ লোকজন নিয়ে বাচ্চু মিয়াকে মারধর করে ও তার স্ত্রী মনোয়ারা, মেয়ে নিপা, ইতি ও পুত্র আব্দুল্লাহকে বেদম মারধর করে। এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাদের কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দাখিল করে যাহার নং ২০, তারিখ ১৩/০২/২০১৯। উক্ত ঘটনায় এলাকায় গ্রাম্য সালিশ করার কারণে মাসুম মেম্বার ও তার লোকজন বাচ্চু ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আজও পর্যন্ত তাদের বাড়িতে ঢুকতে ও বসবাস করতে দেয় না মেম্বারের লোকজন।
বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে এলাকায় গেলে এলাকাবাসী বলেন, মাদক ব্যবসায়ী বর্তমান মেম্বারের বিরুদ্ধে যেই প্রতিবাদ করবে তাদের উপরেই আসবে অমানুষিক অত্যাচার। তাই তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজী নয়। মেম্বারের ভাই শাহজাহান, মহসিন এই প্রতিনিধিকে বলেন, ঘর, বাড়ি ও জমি বাচ্চু মিয়ার থাকলেও সামনের রাস্তাটি আমাদের। তাই আমাদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত মামলাগুলো যতদিন উত্তোলন না করবে ততদিন তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।