কয়েক দশক ধরে গ্রিন টি সুপার ফুড হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে। এই চায়ের রয়েছে অনেক গুণ। ওজন কমাতে এই চায়ের গুণের কথা আমরা সবাই জানি।
তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন, তারা গ্রিন টি পানে উপকৃত হতে পারেন। বাতের ব্যথা দূর করতে গ্রিন টি খুব ভালো কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেল খাওয়া শরীরের জন্য যেমন ভালো, তেমনি এক কাপ গ্রিন টিও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
এখন কমবেশি সবাই আর্থ্রাইটিস ও রিউমেটিক ডিজিজ বা বাতজনিত রোগে ভুগে থাকেন। এসব রোগে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট, লিগামেন্টস, হাড় ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
জয়েন্টে ব্যথা হয়, গতি কমে যায়, আক্রান্ত স্থানে ফোলা ও লালচেভাব দেখা দেয়। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে গ্রিন টি ভালো কাজ করে বলে জানিয়েছে গবেষণা।
কয়েক দশক ধরে গ্রিন টি চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ ও ডায়েটেশিয়ানদের কাছে নির্ভরযোগ্য এই খাবার হয়ে উঠেছে। কারণ সবুজ চা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গবেষণার ফল থেকে জানা গেছে, গ্রিন টি বাত রোগীদের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যদিও এ গবেষণা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে করা হয়েছে।
এক কাপ গ্রিন টি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এর মধ্যে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা পলিফেনল হিসেবে পরিচিত। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
চিকিৎসকদের মতে, এটি বাতসংক্রান্ত রোগে ভোগা মানুষের জন্য সুসংবাদ। গ্রিন টি সম্ভাব্য ক্ষতিকারক বাতজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য ভালো কাজ করে। এর আগে ২০১২ সালে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা যায়, গ্রিন টি গ্রহণের অন্যান্য ইতিবাচক ফলের কথা।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, সবুজ চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়েটে গ্রিন টি যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, বাতজনিত রোগ, হূদরোগ ও ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করে গ্রিন টি।