চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
বুধবার ঢাকায় চীন ফেরত বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্তদের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে সাধারণ সর্দিকাশির চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য কোনো রোগ থাকলে সেটারও চিকিৎসা চলানো হয়।
অধ্যাপক ফ্লোরা বলেছেন, সোশাল মিডিয়ায় অনেক ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হচ্ছে। এ রোগের আলাদা কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখন পর্যন্ত বের হয়নি। এ ধরনের প্রচার প্রচারণায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে ৪৩ জনকে পরীক্ষা করে কারও শরীরেই পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে আইইডিসিআর পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষা করে নিশ্চিত হচ্ছে। তারপর নিয়ম মেনে নমুনাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবারও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে । বাংলাদেশে পিসিআর পরীক্ষার সুযোগ কেবল আইইডিসিআরেই আছে। কারও মধ্যে সংক্রমণের সন্দেহ দেখা গেলে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, চীন থেকে যদি কেউ অন্য দেশ হয়ে বাংলাদেশে আসে তার পরীক্ষা করছি। তবে ভারতে যদি এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তাহলে ভারত থেকে আসা যাত্রীদেরও স্ক্রিনিং করা হবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
এসময় চীনের উহানফেরত ৩১২ জনের মধ্যে যাদের আশকোনা হজক্যাম্পে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তাদের মধ্যে এক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের সদস্যদেরসহ তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সে ফলাফল হাতে আসেনি বলে জানান তিনি।