গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যবাসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সর্বস্তরের জনগনের সুবিধার্থে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে সিলেট-জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণ সড়কের উপর স্থাপিত অস্থায়ী, অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শবনম শারমীন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহি উসসুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, গোলাপগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি সৈয়দ আব্দুল মালেক, গণদাবী পরিষদের উপজেলা সভাপতি আব্দুল লতিফ সরকার, গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস চালক সমিতির সভাপতি লায়েক আহমদ, সিএনজি অটোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি মাখন মিয়া, গোলাপগঞ্জ সবজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেবুল আহমদ, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইজ্জাদ আলীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া পৌর সভার কাউন্সিলর ও বণিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য যে, দেশের প্রথম সারির উপজেলা গোলাপগঞ্জ অবৈধ দোকান পাট আর স্থাপনার কারণে নানাবিধ সমস্যা জর্জরিত ছিল। ফুটপাট দখল করে দোকান পাট বসিয়ে চলাচলের পথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করায় আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগন চলাচলে প্রায়ই সমস্যা সৃষ্টি করত। বিষয়টি গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী সমাজসহ সর্বস্তরের জনগনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর সভাকে অবহিত করা হলে গত ৪ ফেব্রুয়ারী গোলাপগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন স্তরের নাগরিকদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান এব্যাপারে তার বক্তব্যে বলেন, অবৈধ স্থাপনা ও দোকান পাট জনগনের চলাচলের পথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে। জনগনের চলাচলের পথ সুগম করতে ও সরকারি ভূমি থেকে তা অপসারণ করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। আইন মেনে চলার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন এ ক্ষেত্রে কেহ বাড়াবাড়ি করলে জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির আওতায় পড়বেন। এদিকে পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেছেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভা। এখানে রাস্তার পাশ আর ফুটপাত দখল করে যে ভাবে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে তা ক্রেতা বিক্রেতা সহ সর্ব সাধারণের চলাচলের পথে বড় ধরনের বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে। অবৈধ ভাবে দোকান বসিয়ে কাউকে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে না। বৈধভাবে ব্যবসা করতে চাইলে পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে। গতকাল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযান সবে মাত্র শুরু হয়েছে, তা আগামীতেও অব্যহত থাকবে।