বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন , আমরা আগেই বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশন ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিঃশব্দ ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এটা যে ভোটধিকার হত্যার নিঃশব্দ প্রকল্প তা দুটি সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে । ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নূরুল হুদা কমিশনের নেতৃত্বে ইভিএম ব্যবহারের যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তা ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের যেকোনো নির্বাচনে “প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটাধিকার হত্যার এক নিঃশব্দ প্রকল্প” বাস্তবায়নের দুরভিসন্ধি মাত্র।এবার সিটি নির্বাচনে কমিশন ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিঃশব্দ ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে । যাতে রাতে বা দিবালোকে ভোট ডাকাতির মতো কোনো হইচই না থাকে । বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে বিএনপি আর কোন নির্বাচনে যাবে না । আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলার মানুষ কোন ভাবেই ডিজিটাল কারচুপি করার সুযোগ দেবে না। ডিজিটাল পদ্ধতি বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সাধারণ পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হবে। সেই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে ।অবিলম্বে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবী জানান ।
তিনি মঙ্গলবার দুপর ১২টায় দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক (আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব )হযরত আলীর মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে ধানাইদহ এলাকায় মরহুমের নিজ বাসভবনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক , সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সদস্য শহিদুল ইসলাম বাচ্চু,অধ্যাপিকা কামরুন্নাহার শিরিন , ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন , সাবেক পৌর মেয়র ইসাহাক আলী, নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ , ছাত্রদলনেতা শামসুল ইসলাম রনি সহ দলের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান ।
উলেখ্য গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) হযরত আলী তার নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।