গোলাপগঞ্জে চালককে পুলিশের মারধরের অভিযোগে দু’দফা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহণ শ্রমিকরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রথম দফা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে অবরোধ করেন মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। এরপর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একই স্থানে পিকআপ শ্রমিকরা দ্বিতীয় দফা সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুদিকে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পর তারা অবরোধ তুলে নেয়।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস উপ-কমিটির সভাপতি লায়েক আহমদ জানান, ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে মাইক্রোবাস গোলাপগঞ্জ উপ-কমিটির একজন চালক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে হিলালপুর বাইপাসে আসামাত্র পুলিশ কাগজ চেক করার নামে হয়রানি করে। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশ কাগজ ঠিক থাকার পরও মামলার ভয় দেখিয়ে ড্রাইভারদের কাছে তারা টাকা দাবি করে। এসব কাজের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন গোলাপগঞ্জ শাখার সভাপতি বদরুল আহমদ জানান, গত রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে লক্ষণাবন্দে ফেরার পথে মাদ্রাসা বাজার আসামাত্র আমাদের এক চালককে গোলাপগঞ্জ থানার টহলরত পুলিশ কাগজ চেক করার অজুহাতে লাইসেন্স ও সাথে টাকা বেশ কিছু ছিনিয়ে নেয়। এর প্রতিবাদে তারা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান হয়রানি ও টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাত ১টা ২টায় গাড়ি নিয়ে আসলে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি আটকিয়ে কাগজপত্র চেক করে। এলাকার জনগণের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে পুলিশ এটা সবসমই করে থাকে।