মৌলভীবাজারে নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার


মৌলভীবাজারে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিখোাঁজ কামরান আহমদ(১০) নামক এক ছাত্রকে উদ্ধার করেছে মডেল থানার পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, এক প্রবাসীর ২য় স্ত্রীর কর্তৃক আপন দেবরকে বিভিন্ন মামলাসহ একটি সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে হয়রানী করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী ৭নং চাঁদনীঘাট এলাকার গজিমারা গ্রামের মৃতঃ মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ জুনেদ মিয়া বাদী হয়ে স্বরাষ্ট মন্ত্রী, স্বরাষ্ট সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), মৌলভীবাজার সংসদ সদস্য, অতিরিক্ত ডিআইজি ( সিকিউরিটি সেল) ঢাকা, সিলেট ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপিসহ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী জুনেদ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন- আমার বড় ভাই প্রবাসী কমরু মিয়ার ২য় স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা আক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেট এর যোগাযোগীমূলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। বিজ্ঞ আদালত আমাকে একাধিক মামলা থেকে খালাস প্রদান করেছেন। বর্তমানে ভাবীর দায়েরকৃত আরো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমাকে হয়রানীর উদ্যাশে সর্বশেষ- ভাবী সাবিনা আক্তার এর বড় ছেলে ছালামীটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র কামরান আহমদ (১০) নিখোঁজ রয়েছে মর্মে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী ( নং-১৪০৩, তারিখঃ ২৫/০১/২০২০) দায়ের করেন। পরদিন অর্থাং ২৬ জানুয়ারী শ্যামেরকোনা বাজার প্রতাব মিয়ার দোকানের সামনে শিশুটিকে দেখে থানায় সংবাদ দিলে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যান এবং তার ময়ের কাছে হস্তান্তর করেন। এ বিষয়েও পুলিশ একাধিকবার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন যেনো হয়রানি মুক্ত জীবন যাপন করতে পারি এবং ভাবী ও তার সিন্ডিকেট গ্রুপের ষড়যন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই সায়েম ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- জুনেদ ও তার ভাবী সাবিনা আক্তার এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছলে আসছে। সাবিনা একাধিক মামলা দায়ের করেছে। শিশু নিখোঁজ এর ঘঠনায়ও জুনেদকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে খুব বেশী ছাপ সৃষ্টি করেছে সাবিনা ও তার স্বামী।