হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উত্সব সরস্বতী পূজা আজ। হিন্দু বিশ্বাসে— দেবী সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন জগতে। এ বছর পূজার তিথি পড়েছে দুই দিন। পঞ্চমী তিথি শুরু হয়েছে গতকাল সকাল সোয়া ৯টায়। আজ অপরাহ্ন ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। নিত্যপূজা ও দধিকর্ম আজ সকাল সাড়ে ৭টায়। আরতি সন্ধ্যা ৭টায় এবং পূজাঞ্জলি সাড়ে ৯টায়। প্রতিমা বিসর্জন আগামীকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায়।
সনাতন ধর্মীয় রীতিতে গতকাল প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর ও চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর চরণামৃত নেন ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। আজ শীতল ষষ্ঠীতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথা প্রচলিত আছে। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে।
প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতীসদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির ওপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াত-কলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্রেরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি ও আলোকসজ্জা প্রভৃতি।