কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ কিশোরগঞ্জ সদরে সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে সেবা গ্রহীতারা হয়রানির শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রায় ১২ শত নামজারী জমা খারিজের আবেদন অফিসে ফাইলবন্ধী হয়ে পড়ে রয়েছে । সেবা গ্রহিতাদের অভিযোগ ভূমি অফিসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পেয়ে তারা অীফসে আসেন। জমির নামজারি জমা খারিজের আবেদন কারীরা জানান অনেকেই আসেন জমির নামজারী ও জমা খারিজের জন্যে, কোউবা আসেন জমির দাগ সংশোধন এবং নাম সংশোধনের জন্যে। আবেদন করে মাসের পর মাস অফিসে ঘুরেও পায় না তাদের জমাখারিজ। সেবা গ্রহিতারা আরোও জানান সপ্তাহের সোমবার ও বুধবার এ দুই দিন সদর উপজেলা ভূমি অফিসে জমির নামজারী ও জমা খারিজের শুনানী অনুষ্টিত হয়। অথচ নির্দিষ্ট দিনে শুনানীর জন্যে তারিখ দিয়েও কর্মস্থলে থাকেননা কর্মকর্তা,তাই ফিরে যান সেবা গ্রহিতারা। আভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ সদর ভূমি কর্মকর্তা সেবা গ্রহিতাদেরকে ধমেেকর স্বরে কথা বলেন এবং দুর্ব্যবহার করেন। কর্মকর্তার সাথে তাল মিলিয়ে অফিসের কর্মচারীগনও সেবা গ্রহিতাদের সাথে অবজ্ঞার স্বরে কথা বলে সেবা গ্রহিতাদেরকে অপমানিত করে থাকেন।
গত ২৬ জানুয়ারী অফিসের বাইরে বিশ্রাম শ্যাডে কর্মকর্তার জন্যে অপেক্ষায় থাকা জমির নামজারি খারিজের আবেদনকারী সেবাপ্রার্থী সুরুজ মিয়া পিতামৃত-তালেব হোসেন মৌজা-কিশোরগঞ্জ কেইস নং-১৬১৬ জানান বিগত অক্টোবর মাস থেকে তিনি হয়রানীর শিকার হয়েছেন। একই রকম অভিযোগ সোহাগ পিং-শহর আলী(মহর আলী) মৌজা কালটিয়া কেস নং ২৭৯৫, নূরে আলম সিদ্দিকী পিংমৃত-এবাদ উল্লাহ মৌজা-কিশোরগঞ্জ আবেদন নং ২০০১৯৫৬,আবুল কাশেম পিং-নাজিম উদ্দিন মৌজা-বিরবুরুল্লা কেইস নং ২৩০২,শাহীন আক্তার খানম স্বামী আঃ আউয়াল মৌজা-কিশোরগঞ্জ কেস নং-৩৬০৭, উল্লেখিত সেবা গ্রহিতা ছাড়াও শত শত আবেদনকারী মাসের পর মাস সদর উপজেলা ভূমি অফিসে সেবা পেতে গিয়ে অবঞ্জা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপস্থিত অনেকেই জানান জমির নামজারি করার জন্য বিগত ৬ মাসে বহুবার এসেও তারা কাজ সারতে পারেননি।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাবেয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানী দিনদিন বেড়েই চলছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে যোগদানের পরেই তিনি সদর ভ’ূমি অফিসে মহিনন্দ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নাইব) আতাউর রহমান (বোরহানকে) নিয়ে একটি নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছেন। এ বলয়ের বাইরে গিয়ে কোন সেবা গ্রহিতাই সেবা পায়না। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উপজেলা সদরে একটি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোহদয়কে জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আব্দুল্লা আল মাসউদকে জানালে বলেনএ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।