নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগামারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা এখনো রহস্যই রয়েগেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কি কারণে এবং কারা এ হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। আর এই কারনে অজ্ঞাত পরিচয় দানকারি নারী হত্যাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েগেছে। তবে খুনের কারণ নিশ্চিত হতে ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতাউর রহমান বলে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি বদলী হয়ে সিলেট জেলায় চলে গেছেন। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, বাগামারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড তিলিপাড়ার জেলেপাড়া বারনই নদীর দক্ষিন ধারে ওই অজ্ঞাত পরিচয় নারীকে কেবাকাহারা হত্যা করে লাশটি কচরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে যায়। গত ২৬মার্চ ২০১৯ সালের মঙ্গলবার সকালে লাশের দুর্গন্ধ বাতাসে এলাকার লোকজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা ঘঁটনারস্থলে ছুটে য়ায। এবং লাশ দেখে তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এবং নারীটির পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান নিহতের বরাত দিয়ে সেই সময় জানিয়ে ছিলেন,তাহেরপুর পৌরসভার তিলিপাড়ার জেলেপাড়া এলাকায় বারনই নদীতে এক নারীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকার লোকজন। পরে পুলিশসহ ঘটঁনাস্থলে (২৬মার্চ) মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গিয়ে তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এসময় নিহত নারির পরনে কালো রংগের শাড়ি,পেটিকোট ও হলুদ রংগের বøাউজ ছিলো। তিনি আরো জানান, তার গলার সামনের দিকে জবাই করে মাথা বিচ্ছিন্ন করাছিল। এটি নিঃসন্দেহে একটি হত্যাকাÐ। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এর রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করছে তিনি। তবে নিহত নারিকে ধর্ষন করা হয়েছিল কি না তা ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে জানা যাবে। থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়ে ছিলো বলে এস আই আতাউর রহমান জানিয়ে ছিলেন। এদিকে,অজ্ঞাত পরিচয় দানকারী নারীর হত্যাকাÐের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো ক্লু উদ্ধার না করে তদন্তকারি কর্মকর্তা ইনচার্জ এসআই আতাউর রহমান অন্য যায়গায় তরিঘড়ি করে বদলী হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসি মধ্যে জল্পনা কল্পনা বয়ে যাচ্ছে। তবে কি অজ্ঞাত পরিচয় দানকারী নারীর হত্যাকাÐের ঘটনা আধারে কি রয়ে যাবে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, আমি এপ্রিল মাসে যোগদান করেছি। তবে অজ্ঞাত নারীর হত্যাকাÐের ঘটনার বিষয়ে খোজখবর নিয়ে জানানো হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।