ত্রিমুখী ২য় পদ্মাসেতু নির্মানের দাবিতে পাবনা’য় বিশাল মানববন্ধন

শফিক আল কামাল (পাবনা) ॥ ত্রিমুখী ২য় পদ্মাসেতু নির্মানের দাবিতে পাবনা’র বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার ২৭’জানুয়ারি বেলা ১১টায় ১৪০ কিলোমিটার মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ পাবনা জেলা শাখা ও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অংশগ্রহন করে। এছাড়াও ব্যানার নিয়ে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হুমায়ূন কবির মজুমদারের নেতৃত্বে শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে, পাবনা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সামনে, পাবনা জেলা উন্নয়ন ফোরামসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে স্বতঃফূর্তভাবে পাবনা’র উন্নয়নে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ পাবনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন সন্টুর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক, এশিয়ান টিভি’র জেলা প্রতিনিধি শফিক আল কামাল এর সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর কে বি এম নিষানুল হাবিব, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী জব্বার, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোমিনুর রহমান বরুণ, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার রেখা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এ কে মির্জা শহিদুল ইসলাম, শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পাবনা’র সভাপতি আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক মোছা. হেলেনা খাতুন, হাসিনা আক্তার রোজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কাজিরহাট-আরিচা-দৌলতদিয়ায় ওয়াই আকৃতির ত্রিমূখী সেতু নিমাণ হলে ঢাকার সাথে পাবনাসহ আশেপাশের জেলার দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলা সমূহের দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। সাধারণ মানুষসহ পণ্য পরিবহন সহজ হবে। যার ফলে সময় সাশ্রয় হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।