পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, আয়রন, ফাইবারের মতো পুষ্টিকর উপাদান। এজন্য শীতের সময় খাদ্য তালিকায় পালং শাক খেয়ে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। পালং শাক রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি জুস করে সকালে খালি পেটে নিয়মিত পান করেন তাহলেও উপকার পাবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে পালংয়ের জুস পানে যেসব উপকার পাবেন-
পালংয়ে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তারা নিয়মিত পালং জুস ডায়েটে রাখুন। এতে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়বে। দুর্বলতা কমবে। বিশেষ করে গর্ভবতীরা এই জুস রোজ পান করুন।
শীতে পানি কম খাওয়ার ফলে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এই সমস্যা কমবে নিয়মিত পালং জুস পানে। কারণ, এই জুসে আছে প্রচুর ফাইবার যা সহজে পেট পরিষ্কার করে।
এখনকার আবহাওয়ায় ত্বক নির্জীব হয়ে যায়। ক্রিম বা তেল মাসাজ করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। নিয়মিত পালং জুস ডায়েটে থাকলে এই সমস্যাও মিটবে। এর মধ্যে থাকা আয়রন, ভিটামিন, পানি, ফাইবার, ভিটামিন আর খনিজ পদার্থ ত্বককে সজীব করে নিমেষে। তাই শীতে ঝলমলে ত্বক পেতে পান করুন পালং জুস।
পালং জুসে আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ক্লোরোফিল, লুটিন। যা ম্যাকুলার সমস্যা কমিয়ে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। ম্যাকুলা রেটির একটি অংশ যা ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়। পালং জুস খেলে ম্যাকুলা ডি জেনারেশন থেকে দূরে থাকা যায়।
শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ সরাতে সাহায্য করে পালং জুস। প্রস্রাব আর পেট পরিষ্কারের মাধ্যমে ডি-টক্সিফায়েড করে শরীরকে। তাই রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পালং জুস খান।
কীভাবে বানাবেন পালং জুস
তৈরি করতে যা যা লাগবে
পালং শাক ২৫০ গ্রাম, আপেল ১টি মাঝারি আকৃতির, পুদিনা পাতা ৫০ গ্রাম, পানি আধা কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
পালং শাক, আপেল এবং পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে কুচি করে নিন। এরপর আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ওপরে সামান্য মধু আর পুদিনাপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। সূত্র: এনডিটিভি