রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনরপুর থানার অন্তর্গত ঢালারচর থেকে রাজশাহীমুখী আন্তঃনগর “ঢালারচর এক্সপ্রেস” নামে নতুন রেল সার্ভিস চালু হয়েছে।
পাবনা শহর থেকে রাজশাহী রেল রুটে চলাচলকারী ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেন এখন থেকে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে বর্ধিত রুটে রাজশাহী-পাবনা-ঢালারচরের মধ্যে চলাচল করবে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বর্ধিত রেলপথে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে ঢালারচর থেকে পাবনা পর্যন্ত আরও ৫৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ সংযুক্ত হলো।
রেলওয়ে বিভাগ জানায়, ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথের পাবনা পর্যন্ত প্রথম ধাপে ২৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হওয়ার পর ২০১৮ সালের জুন থেকে পাবনা-রাজশাহী রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। মোট ৭৮ কিলোমিটার রেলরুটের বাকি ৫৩ কিলোমিটারের নির্মাণ ও ট্রেন চলাচলের জন্য যাবতীয় কাজ শেষে রবিবার থেকে পূর্ণাঙ্গ ট্রেন চলাচল শুরু হলো। এর মাধ্যমে পাবনার মানুষ রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম খরচে ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আসাদুল হক জানান, সব জেলাকে রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করতে কাজ করছে সরকার। এর মাধ্যমে এক নতুন মাইলফলকে যুক্ত হলো ঢালারচরবাসী।
ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঢালারচর স্টেশনে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আসাদুল হক, পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী।
এদিকে, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম ও সময়সূচি পরিবর্তন করায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে পাবনার সচেতন মানুষের মধ্যে। সম্প্রতি জেলা শহরের নামে রাখা ট্রেনের নাম পরিবর্তন করায় নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। মিছিল মিটিং সভা-সমাবেশ করে জেলার নামে ট্রেনের নাম রাখার জোর দাবি করেন তারা। জেলার নামে রাখা ট্রেনের নাম পরিবর্তন করে একটি ইউনিয়নের নামে ট্রেন সার্ভিস চালু করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবনাবাসী।