পাবনায় পুলিশের কাজে সহায়তাকারীকে হামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আরিফ ঢাকায় গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ পাবনার বহুল আলোচিত আরিফ বাহিনী প্রধান আরিফকে পাবনা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশের সহায়তায় আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাবনা থানার অফিসার ইনচার্জ নাসিম আহমেদ আরিফকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, তাকে ঢাকা থেকে পাবনায় নিয়ে আসা হচ্ছে তারপর এ বিষয়ে জানানো হবে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনছার আলীর ছোট ছেলে আরিফ। গোপালপুর গ্রামে তার বাড়ি। আরিফের বিরুদ্ধে জাল লাইলেন্স প্রস্তুুত করে অবৈধভাবে অস্ত্র কেনা, মাদক ব্যবসা, গাড়ি চুরি, জমি দখল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, প্রতারনা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে রয়েছে তার ডাক বাংলো নামের অফিস। এক সময় এই ডাক বাংলো ছিলো আরিফ বাহিনীর টর্চার সেল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ডাক বাংলোর সামনে জড়ো হতো শতাধিক মটর সাইকেল। আরিফ বাহিনীর ক্যাডাররা রাতভর সেবন করত মাদক। এই ডাক বাংলোতে জোর পূর্বক প্রতিপক্ষকে ডেকে এনে জোরপূর্বক শালিসের মাধ্যমে চলতো অর্থ বাণিজ্য। এ বাহিনীর সাথে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সখ্যতা থাকার কারণে এলাকার কোনো মানুষ তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না।

গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পাবনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদ›ত) খাইরুল ইসলাম একটি গণধর্ষণ মামলার তদন্তকালে আলিম নামে একজন যুবককে পুলিশের সামনে আরিফ বাহিনীর সশ্বস্ত্র ক্যাডাররা আলিমকে মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে। স্থানীয় সিসি ক্যামরোয় এই দৃশ্য ধরা পড়ে। পরে তা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক্রস মিডিয়াসহ ফেশবুকে এ দৃশ্য ভাইরাল হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার পর আহত আলিমের স্ত্রী মোছাঃ রুমা বাদী হয়ে গত ২০ জানুয়ারি পাবনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – ৬৫ । উল্লেখিত মামলায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরিফসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য জোড় পুলিশি তৎপরতা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।