প্রতিরোধের মুখে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ায় মিন্টু দাসকে পাবনা পুলিশ লাইনে প্রত্যহার

ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি:
আন্দোলনের মুখে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন এসআই মিন্টু দাস। মিন্টু দাসের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য থাকে যে, এসআই মিন্টুকে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় পাবনা পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলার পারফরিদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সৌদি প্রবাসী মুন্নাফ (২৮) ও একই গ্রামের মৃত- শামছুল হক এর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসি রাসেলকে মাদক সেবনের অভিযোগে ফরিদপুর থানা এসআই মিন্টু দাস সোমবার সন্ধ্যায় দেওভোগ বিলের ধারে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। রাতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে মর্মে তাদের আত্মীর নিকট হতে দুই দফায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মুন্নাফ ও রাসেলকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। এতে তাদের আত্মীয়স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং উপজেলায় ইএনও’র সিএ এর রুমে মিন্টুকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফরিদপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় রাসেলের চাচা মুনসুর এসআই মিন্টু দাসকে তাৎক্ষনিক ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বলে কিন্তু মিন্টু থানায় গিয়ে টাকা ফেরত দিতে চাইলে উপস্থিত সবাই আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। গ্রেফতারকৃত রাসেলের মা সুজাতা জানায় “আমার ছাওয়াল ৫দিন আগে বিদেশ থেনে আইছে। তাক টেহার জন্যি পুলিশ ধরে লিয়ে আইছে। মিন্টু পুলিশ আমার ছাওয়ালেক ছাইড়ে দেওয়ার কথা কহা ২০ হাজার টেহা লিছে”। অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই মিন্টু বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই তাই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি কারও নিকট থেকে কোন ঘুষ গ্রহণ করি নাই। ওসি এসএম আবুল কাশেম আজাদ বলেন, মিন্টুকে ইতোমধ্যেই পাবনা পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস বলেন, হট্রগোল শুনে আমার রুম থেকে বের হয়ে দেখি ইউএনও এর সিএ এর রুমে মিন্টু দাস অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মদ আলী বলেন, দুজন মাদক সেবনকারী তাদের দোষ স্বীকার করলে তাদের প্রত্যককে ৭দিনের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। পরে নিচে অনেককে বিক্ষোভ করতে দেখেছি।