বড়াইগ্রামে ঘরবাড়ি ও দোকান তুলে রাস্তা দখল পিচ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ

নাটোর প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে বসতঘর ও দোকানপাট নির্মাণ করে রাস্তার জায়গা দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ফলে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা পাকা করার কাজ চললেও রাস্তার মুখের অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে হাঁটাচলাসহ স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশেপাশের গ্রামের পায় ২৫ হাজার মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার জোনাইল-রাজাপুর সড়কের কুশমাইল নাসির মোড় থেকে সংগ্রামপুরগামী একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। কুশমাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও আমজাদ হোসেন এ রাস্তার শুরুতে নাসির মোড়ে কুশমাইল মৌজার ১৪০ হালদাগে কয়েকটি দোকান ঘর ও বসত বাড়ি তুলে দখল করে রেখেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হয়। রাস্তার শুরুর অংশ বেদখল থাকায় ভুলে ঠিকাদার পাশের আব্দুল মজিদ আকন্দের জমির উপর দিয়ে সাময়িকভাবে চলাচলের রাস্তায় বক্স কাটেন। এ সময় আব্দুল মজিদ আকন্দ তার জমি দিয়ে রাস্তা করতে বাধা দেন। এরপর প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের এবং পরে উপজেলা ভূমি অফিসের মাপজরিপেও রাস্তার শুরুতে জবরদখলের সত্যতা মেলে। সে অনুযায়ী ভূমি অফিস থেকে তাদের দুজনকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বললেও তারা তা মানছেন না। এতে রাস্তার অন্যান্য অংশে পিচ ঢালাইয়ের কাজ চললেও শুরুর অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে এ পথে স্বাভাবিক হাঁটাচলাসহ যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সংগ্রামপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অটোরিক্সা চালক জানান, আমরা অটো রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাই। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় যান চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছি। তাই দ্রুত সঠিক জায়গা চিহ্নিত করে রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবী জানাচ্ছি। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল আলম জানান, মাপ-জরিপের পর দখলদারদের দ্রুত ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা নির্দেশ মানছেন না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, রাস্তাটির শুরুর অংশে দুজন লোকের দখলে আছে। ঠিকাদার ভুল করে একজনের ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে বক্স কেটে ফেলেছে। রাস্তার শুরুর অংশ নিয়ে জটিলতা থাকায় ঐ অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।