এস এম আলম, ২২ জানুয়ারি: পাবনায় ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের উচ্ছেদ না করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সকালে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। মানববন্ধনে নদীপাড়ের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ রিজভি ম্যাক্সিম, অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন, পাভেল হাসান জাহাঙ্গীর, আব্দুল করিম, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সহ অনেকে ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে ইছামতি নদী পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে। কিন্তু অনেকের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বেশকিছু স্থানে বড় বড় স্থাপনা ইতিমধ্যে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে অনেক পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে বৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ না করার দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী’র কাছে পাবনা জেলা প্রশাসক এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী । বক্তারা বলেন – ২০০৮ সনের ১ জুলাই ভ’মি মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক ও সচিব মাহবুবুর রহমানের মাসিক সভায় সিএস, এসএ এবং আরএস খতিয়ানের পারস্পারি গুরুত্ব ও খাজনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য জানানো হয় যে, ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অধীগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৪ ধারার ৭-উপধারা এই আইনের অধীনে প্রণীত ১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩৪(২) বিধি মোতাবেক সর্বশেষ জরিপের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশিত রেকর্ড (খতিয়ান ও ম্যাপ) মালিকানা বা স্বত্ব নির্ধারনের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সেই মোতাবেক গত ৩১-১২-২০০৭ ইং সাবেক পাবনা জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা ইছামতি নদী পূণঃখননের জন্য দিয়ারা জরিপ হওয়ার পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসংগে পাবনা পৌর সভাকে পত্র প্রেরণ করেন। বক্তাগণ ইছামতি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্য ক্রমে বৈধ বসতিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য পাবনা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জরীপের রেকর্ড কেবলমাত্র রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।