রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শ্যামপুর ভিমনগর টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে মাসব্যাপি বিজয় মেলার র্যাফেল ড্র’র নামে চালানো হচ্ছে প্রধান আকর্ষণ অবৈধ আলোর ভূবন রাফেল ড্র লটারির জুয়া খেলা। এই লটারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখানো হলেও মূলত আয়োজকরা জম্পেশ জূয়া বাণিজ্য করছে। তারা শত শত অটোরিক্সা নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে টিকিট বিক্রি করচ্ছে। গ্রামের লোকজন হুমরি খেয়ে লাইন দিয়ে লটারির টিকিট কাটছেন। এছাড়া টিপটপ ক্লাবের মেলায় অবৈধ আলোর ভূবন রাফেল ড্র লটারির জুয়া খেলায় বিপথগামী হচ্ছে যুবসমাজ বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। সচেতন মহলের অভিমত, মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যর লট্রারি কিনে রাতারাতি বিত্তশীল হবার আশায় অলোর ভূবন লট্রারি নামে জুয়ার প্রলোভণের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব হতে চলেছে। হতদরিদ্রদের সংসার ভাঙ্গছে, সৃষ্টি হচ্ছে দাম্পত্য কলহ-বিবাদ। এছাড়া মাসব্যাপি বিজয় মেলার নামে লট্রারির নামে জুয়া চলছে। আলোর ভূবন র্যাফেল ড্র লটারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখানোয়, স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের দিনভর কষ্টার্জিত উর্পাজনের টাকা দিয়ে ২০ টাকা মূল্যর লটারি কিনে নিঃস্ব হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে বাড়ি ফিরছে। এবং তাদেরও সংসারে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তী দামপত্য-কলহ-বিবাদ। এদিকে লটারির প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে ডিস লাইনে (অবৈধ) চ্যানেলে লটারির কর্মকান্ড সরাসরি সম্প্রচার করছে কয়েকটি ক্যাবল প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে প্রায় দেড় শতাধিক অটোচার্জার গাড়ীতে মাইকের মাধ্যমে উচ্চ শব্দে লটারির প্রচারণা করায় মেলার আশপাশে বসবাসকারি মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান,মৌলভি বাজার জেলার রামনগর থানার ছেংরা গ্রামের শ্রী রমাপদ কুমার দাস পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ আয়েন উদ্দিন,মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হোসেনকে হাত করে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন ঘাষিগ্রাম ইউপির ভীমনগর স্থানীয় টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে মাসব্যাপি বিজয় মেলার আড়ালে লট্রারির নামে জুয়া চলছে। মেলার প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়ে উঠেছে আলোর ভূবন র্যাফেল ড্র নামের লটারি। মাত্র ২০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে, মোটরবাইক, সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এলাকায় প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক কর্মী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আনাচে-কানাচে র্যাফেল ড্র’র টিকিট বিক্রি করছে, শুধু যানবাহন নয় বিভিন্ন স্থানে টেবিল-চেয়ার বসিয়ে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। মাত্র ২০ টাকায় এসব লোভনীয় পুরুস্কার পেতে টিকিট সংগ্রহে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা বিশেষ করে নি¤œ আয়ের নারী-পুরুষ এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এতে প্রতিদিন লট্রারির প্রায় অর্ধকোটি টাকার টিকিট বিক্রি হলেও সামান্য ব্যয় হয় পুরস্কারে। পুরস্কারের লোভে নি¤œ আয়ের মানুষ তাদের সারাদিনের কষ্টার্জিত উর্পাজনের টাকা বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। অধিকাংশক্ষেত্রে অনেক সংসারে দাম্পত্য-কলহ দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে কয়েকটি ক্যাবল প্রতিষ্ঠান সরাসরি (অবৈধ) তাদের নিজস্ব চ্যানেলে লটারি জূয়া স¤প্রচার করছে। আবার লটারি জুয়ার টিকিট বিক্রি ও খেলার সময় শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘড়ির কাটা রাত ১০টা হলেই টিকিট ক্রেতারা বাড়িতে,অন্যর বাড়িতে অথবা বিভিন্ন দোকানের টিভি সেটের সামনে বসে পড়ছেন। এসময় মেলায় লটারি মঞ্চে শিশুদের দিয়ে টিকিট তুলিয়ে তা প্রচার করা হচ্ছে। টিকিটের জমা দেয়া অংশে লেখা ক্রেতার নাম ও ফোন নম্বর দেখে তাকে ডেকে পুরুস্কার দেয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের সিংহভাগ পুরুস্কার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এতে অধিকাংশক্ষেত্রে সংসারে দাম্পত্য-কলহ সৃষ্টি হচ্ছে বলে ব্যাপক প্রচার রয়েছে। এবিষয়ে মৌলভি বাজার জেলার রামনগর থানার ছেংরা গ্রামে শ্রী রমাপদ কুমার দাসের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তাদের লটারির অনুমোদন রয়েছে। তবে কে দিয়েছে অনুমোদন তার কোনো বক্তব্য জানাননি তিনি। তবে এব্যাপারে স্থানীয়রা অবিলম্বে অবৈধ এই লটারি জুয়া বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।উল্লেখ্য,মোহনপুর উপজেলার শ্যামপুর হাটে ২০১৯ সালে একই সময় স্থানীয় আনছার ক্লাবের উদ্যোগে মাসব্যাপি আয়োজিত কথিত বাসন্তী মেলার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যান লটারীর মালিক শ্রী রমাপদ কুমার দাস।