মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ কবি মহল ( এসো কবিতা লিখি) এর আয়োজনে ভৈরবগঞ্জ বাজারে স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক কবি মহা সম্মেলন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ভারতের আসাম রাজ্যের প্রখ্যাত কবি ও মানব প্রেমী নীহাররঞ্জন নাথ। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কবি মামুনুর রশিদ। বাংলাদেশ কবি মহলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কবি শেখ শাহ্ জামাল আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মজুল,কবি কল্যাণী দেব চৌধুরী, কবি হিলারী হিটলার, কবি মুন্সি কবির, কবি রোকশানা সূখী, কুষ্টিয়ার কবি জীবন চক্রবর্তী, কলকাতার বিশিষ্ট কবি অজয় চক্রবর্তী,, ভারতের কবি পার্থদীপ সমাজদার, কবি মুহিবা ইসলাম মৌরী,কবি আঃ রউফ, কবি ও গীতিকার মুক্তাদির আহমদ উদাস,কবি বিধু নাথ,কবি রৌনক, সিলেটের কবি সফির আহমদ কামাল, চাঁপাই নবাবগঞ্জের কবি নাজরিন আখতার,কবি শিরিন শিলা,কবি জান্নাতুল বাকী,কবি শিউলী আক্তার, কবি সয়ফুল, কবি মহলের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও সাংবাদিক মশাহিদ আহমদ, সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীসহ স্থানীয় গুণিজন। দিন ব্যাপী কয়েক পর্বে অনুষ্ঠিত এ কবি মহা সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে প্রায় তিন শতাধিক কবি অংশনেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে টানা কবিতা আবৃতি ও সাহিত্য আলোচনা। সব শেষে কবিদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতক অনুষ্ঠান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি নিহার রঞ্জন নাথ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এদেশে কোন অনুষ্ঠান শুরুর আগে কোরান তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করেন। এটি মানুষের মনকে অসৎ পথ থেকে দূরে রাখে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অতন্ত আত্মীয়তা পরায়ন। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। তিনি বলেন- বাংলাদেশ কবি মহল শুধু বাংলাদেশেই সাহিত্য সেবা দিচ্ছে না, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর সাহিত্য সেবা চলছে তাই কবি মহলের প্রতিষ্ঠাতা কবি শেখ জামাল আহমদকে তাঁর বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের বিশ্ব মানব ধর্ম বিকাশ পরিষদ বিশ জনের মধ্যে স্বর্ণ পদক প্রদান করবে। এ সময় কবি কল্যাণী দেব চৌধূরীসহ তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে কবি শেখ শাহ জামালের গলায় পড়িয়ে দেন ভারতের মায়ারানী ট্রাস্টের দেওয়া স্বর্ণ পদক। কবি শেখ জামাল উক্ত সম্মান মাথায় তুলে নিয়ে তাঁর এলাকাবাসী ও বাংলাদেশের সকলের চরণে রেখে তাঁর স্রস্টাসহ ভারতের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। উপস্থিত চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজুল বলেন- এ পদক শুধু আমাদের এই এলাকার সম্মান নয়। এটা সারা বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলো। পরে কবি নীহাররঞ্জন নাথ নিজের লেখা কয়েকটি গজল পরিবেশন করে শত শত দর্শনার্থীদের বিমোহিত করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কবি মহলের পক্ষ থেকে কবি নিহার রঞ্জন নাথ কেও স্বর্ণপদকে ভুষিত করা হয়।