পাকিস্তান কেন যাবেন না মুশফিকুর রহিম? উত্তরে বললেন পারিবারিক কারণে তিনি যেতে চাচ্ছেন না। তার মা-বাবা আর স্ত্রীও চান না পাকিস্তান সফরে মুশফিক যাক। তারা ভয় পাচ্ছেন উল্লেখ করে মুশি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত বদল হওয়ার কি আছে, আমি তো আগেই বলে দিয়েছি আমি যাব না পাকিস্তানে। আমি আমার পারিবারিক কারণ আগেই বোর্ডকে জানিয়েছে এবং উনারা সেটা মেনে নিয়েছে। আমি অফিসিয়াল লেটারও দিয়েছি। দেখুন তারা (পরিবার) ভয়ে শঙ্কিত। এই অবস্থায় আমি গিয়ে খেলতে পারি না।’
ক্রিকেটের চেয়ে জীবনের মূল্য যে বেশি সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন মুশফিক, ‘যদি বলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা বড় সিরিজ মিস করা। একই সঙ্গে আমার কাছে সুযোগও ছিল পিএসএলে খেলা। আমি কিন্তু প্রথমেই না করে দিয়েছি। আমি জানি পুরো টুর্নামেন্ট (পিএসএল) পাকিস্তানে হবে। আমি বলেছি আমার পরিবার আমাকে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না, কাজেই ওখানে আমি যাব না। কারণ ক্রিকেট কখনই জীবনের আগে না।’
তবে দেশটিতে ক্রিকেট নিয়মিত হলে ভবিষ্যতে ঠিকই যাবেন এই টাইগার তারকা, ‘পাকিস্তান হয়ত আগের চেয়ে বেটার। কিন্তু দুই বছর যদি এমন যায় তাহলে হয়ত আত্মবিশ্বাস আমার কাছে আসবে (যাওয়ার জন্য)। এর আগেও পাকিস্তানে আমি ট্যুর করেছি। ২০০৮ সালে গিয়েছি। খেলার জন্য অনেক ভাল জায়গা। উইকেট অনেক ভাল থাকে। সেটা অনেক মিস করব। আমি আশা করব দুই তিন বছর পরিস্থিতি যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো থাকে, তখন না যাওয়ার কোন কারণ নেই।’
এর আগে প্রধান নির্বাচককে ফোন দিয়ে বলেও দেন, যাতে পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত জাতীয় দলে তার নামটা না রাখা হয়। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনের ভাষ্য, ‘মুশফিক আমাকে ফোন করেছিল যে সে পাকিস্তানে যেতে চায় না। আমরা এই সিরিজে তাকে বিবেচনায় রাখব না।’
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ওই সিরিজ খেলে দেশে ফিরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টেস্ট খেলতে দল আবার যাবে পাকিস্তানে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ হবে রাওয়ালপিণ্ডিতে।
বাংলাদেশের তৃতীয় দফার সফর এপ্রিলে। ৩ এপ্রিল করাচিতে একটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল। তার পর একই শহরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আরেকটি টেস্ট ৫ এপ্রিল থেকে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। লম্বা একটা সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে হোম সিরিজগুলো আয়োজন করছে পাকিস্তান। তবে দেরিতে হলেও সেই বন্ধ দুয়ার খুলেছে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সিরিজ হয় পাকিস্তানে।