কিশোরগঞ্জে ভেঙ্গে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা ট্রাফিক পুলিশের অর্থ বাণিজ্যের মহাৎসব

মোঃ খায়রুল ইসলামঃ
কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে কিশোরগঞ্জ পৌর ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেট। নিয়ন্ত্রনের নামে ট্রাফিক ইন্সপ্টেকর করিমসহ কয়েকটি সমিতি ও
ও পুলিশ প্রশাসন হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। স্থান ভাড়া ও যানঝট নিরসন সার্ভিস এর নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মাসে প্রায় ৩০,লক্ষ টাকা । যার ফলে কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্ব পালন করতে হয় না। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বের সকল কাজ নিয়ে গেছে কিশোরগঞ্জ পৌর ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেট এর লোকজন । শহরের গাইটাল বটতলা মোড়, কালিবাড়ী মোড়, পুরান থানা মোড়, ও একরামপুরের মোড়ে শহর যানজট মুক্ত শহর গড়ি ব্যানারে ট্রাফিক পুলিশের বিপরীতে কিশোরগঞ্জ পৌর ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক সমিতি করছে এসব কর্মকান্ড । বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা যায় মাসিক ও দৈনিক মাশুহারা বিহীন যে সব গাড়ী শহরে ডুকে সেইসব গাড়ী গুলোকে আটক করে ৪/৫ হাজার টাকা করে আদায় করছে ওইসব সমিতির দায়িত্বরত কর্মী বাহিনী ও দালাল চক্র । এতে সরাসরি ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগিরা যার ফলে কয়েকজন ভুক্তভোগি গতকাল রাত ৮.৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের বাস ভবনে অভিযোগ দিতে গিয়ে ফেরত আসে অভিযুক্তরা । বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । অবশেষে ভুক্তভোগিরা দালাল চক্রের নরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও ০১৭১৪-৫৮৩৯৪৪ নাম্বারে দালালের মাধ্যমে ৩ হাজার / ৪ হাজার টাকার মাধ্যমে পুলিশ লাইন থেকে গাড়ী ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের সম্মুখে ইজিবাইক, বড় মিশু, ছোট মিশু, টমটম,দালালরা আটক করে তা পুলিশ লাইনে দিয়ে আসার অভিযোগ ও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমনকি রাস্তায় ধরকষাকষি মিল হলে মাঝ পথেই অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় আটককৃত গাড়ী গুলো ।অভিযোগের প্রেক্ষিতে একদল সাংবাদিক ট্রাফিক ইন্সপ্টের করিমের অফিসে গিয়ে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পায়নি। উল্লেখ্য যে, এ প্রতিনিধি গত সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারকে মোবাইলে জানালে তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছিলেন । তবে পুলিশ সুপারকে জানানোর পর ট্রাফিক পুলিশের অর্থ বানিজ্যের দৃশ্যমান স্থান পরিবর্তন ঘটেছে বটে। সেই সাথে টি.আই.এর অর্থের অংকও মোটা হয়েছে । শহর ঘুরে দেখা যায় পৌর সভার অনুমোদন বিহীন অটো গাড়িতে ২০ টাকার ছোট রশিদ সামনের গøাসে আঠা দিয়ে লাগানো থাকে ও সমিতির বিশেষ টুকেন পকেটে ডুকিয়ে রেখে পাশ কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে দালাল চক্রের লোকেরা । এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই সব চক্র পৌরসভার কেউ নয়। সচেতন মহলের প্রশ্ন পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এবং পৌরসভার অনুমোদন ব্যতিত কি করে পৌরসভার ট্রাফিক আইন যানঝট মুক্ত করার দায়িত্ব এইসব সমিতি নেয় ?