পাবনায় ইছামতির উচ্ছেদাভিযানে নদীর পাড়ে ৪টি রেকর্ডের বলে খাজনা খারিজ করে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বৈধ বসবাসকারীদের সমাবেশ

এস এম আলম,১১ জানুয়ারি: পাবনায় ইছামতির উচ্ছেদাভিযানের প্রেক্ষিতে নদীর পাড়ে৪টি রেকর্ডের বলে খাজনা খারিজ করে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বৈধ বসবাসকারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।পাবনা ইছামতি নদী পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোডের্র যৌথ উচ্ছেদাভিযানের প্রেক্ষিতে নদীর দুই পাড়ে বসতিরা জমির বৈধ মালিকানা ও ক্ষতি পূরণ দাবী করে সভা-সমাবেশ করেছে। সভায় ইছামতি নদী পুনরুদ্ধার ও প্রবাহমান করার জন্য ক্রমশ ভরাট হয়ে আসা নদী গভীর ভাবে খনন করার দাবী জানান ।

আজ সকাল ১১ টায় পাবনা শহরের পৈলানপুর ইছামতির পাড়ে শতশত বসতিরা সমাবেশে এ দাবী করেন। পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক মাসুদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারন স¤পাদক এ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন, ক্ষতিগ্রন্থ এলাকাবাসী আল মাসুদ রিজভী, নাসিমা বেগম, মনিন্দ্র নাথ প্রমুখ। সভায় বক্তারা পাবনা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন আমরা নদী সংস্কারের পক্ষে, যারা দিনে দিনে নদীর পাড় দখল করেছে তাদের কথা বলছি না। আমরা ৪টি রেকর্ডের বলে খাজনা খারিজ করে দীর্ঘ ৭০ বছর বসবাস করে আসছি। সর্বশেষ জরিপের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশিত রেকর্ড (ক্ষতিয়ান ম্যাপ) মালিকানা বা স্বত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে মর্মে অবৈধ উচ্ছেদের পূর্বে নদী জরিপ ও সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা চাই নদী চলমান হোক। কিন্তু বৈধ বসতিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন নদীর দুই পাড়ে বসতিরা সবাই অবৈধ নয়। সিএস পেটি যাহা ১৯৩৬ সালে জরিপ কাজ শুরু হয়ে ১৯৪৫ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে এসএ জরিপ চুড়ান্তরূপে প্রকাশিত হয়। দেশ স্বাধীনতা লাভের পর আরএস জরিপ প্রকাশিত হয় এবং ২০১৮ সালে আরএস-২ (বিএস) রেকর্ড প্রকাশিত হয়। উক্ত সম্পত্তি বিভিন্ন হাত বদল হয়ে বর্তমান নদীর দুই পাড়ে বসতিদের হাতে আসে। বাংলা ১৪২৬ সাল পর্যন্ত সরকার বাহাদুরের সেরেস্তায় খাজনা প্রদান করে অনেকে পাবনা পৌরসভা কর্তৃক প্লান পাশকরে বসত বাড়ি নির্মণ করে বসবাস করে আসছে। বক্তারা বলেন ১৯৫০ সালের প্রজা স্বত্ব আইনে বলা হয়েছে রাষ্ট্র যদি প্রজা স্বীকার করে একবার খাজনা গ্রহণ করে সে প্রজার স্বার্থ দেখার দায়িত্ব সরকারের। বক্তারা বৈধ বসবাসকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ বসবাসকারীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবী করেন। এদিকে বক্তারা বলেন ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রুপ মহামন্য হাইকোর্টে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করলে বিজ্ঞ মহামান্য বিচারক ৩মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেছে।