মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
চরাঞ্চলসহ গোটা উপজেলায় কৃষিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। কৃষকরা এখন ধান চাষাবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের শাক সবজি ও মসলার চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মসলা জাতীয় ফসল হলুদ, তেজপাতা, আদা, কালোজিরা, ধনিয়া, পাঁচ ফোরন, বসসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হলুদ ও আদা চাষে কৃষকের আগ্রহ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার রামজীবন, সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ইউনিয়নে ইদানিং হলুদ ও আদা ক্ষেত চোখে পড়ার মত। কথা হয় উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর সাথে। তিনি দীঘদিন থেকে প্রায় ২ হতে ৩ বিঘা জমিতে আদা ও হলুদ চাষ করে আসছে। এতে করে তিনি ধান চাষাবাদের চেয়ে দ্বিগুনহারে মুনাফা অর্জন করছেন। তিনি বলেন প্রতিবছর তিনি প্রায় ৮০ হতে ১ লাখ টাকা লাভ করছেন আদা ও হলুদ বিক্রি করে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আদা ২০০ টাকা এবং হলুদ কাঁচা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬০ হেক্টর জমিতে হলুদ এবং ৫০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষাবাদে ঝুকে পড়ছে। ধান চাষাবাদের চেয়ে বর্তমানে তালতরকারি চাষাবাদে বেশি লাভ।