গত এক দশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
আলোকিত জনগোষ্ঠী গড়তে বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি
পাচ্ছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও
করেছে মজবুত ও টেকসই। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে
দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। পাশ করে বের হয়ে বিভিন্ন পেশায়
নিয়োজিত হবে; সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে হবে। এমন কিছু করে
যেতে হবে যাতে করে মানুষ চীরদিন মনে রাখবে শ্রব্ধাভরে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ
প্রত্যার্বতন উপলক্ষ্যে বলেন যে দিন বাংলাদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু পা
রাখলেন ঐ দিনই প্রকৃত স্বাধীন দেশের সাধ গ্রহণ করেছি।
আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর ধানমন্ডির সেন্ট্রল
রোডস্থ আইডিয়াল কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী-২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব
কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে
উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। উন্নয়ন এই গতিকে আরও বেগবান করতে হবে, আগামীতে
তোমাদের নের্তৃত্বে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ২০৪১
সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়তে হবে।
শিক্ষিত দেশপ্রেমিক ও শৃঙ্খলিত মানুষ দিয়েই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব। তাই
সরকার দেশের সকল জনগণকে একত্রিত করতে চায়।
মন্ত্রী আরও বলেন; উপযুক্ত শিক্ষাই পারে সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে
স্বাবলম্বী করতে। জাতির পিতা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন,
জাতির পিতা শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব
দিয়েছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে পাঠ্যপুস্তক
সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় মুক্তি
সংগ্রামের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও জীবন
আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা,পাকহানাদার বাহিনী ও
তাদের দোসরদের কর্তৃক গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, মুক্তিযোদ্ধাদের
বীরত্বগাথা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি, মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় ৪ নেতার
ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ভূমিকা, পাকিস্তানী বাহিনীর
আত্মসমর্পণ, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক ইতিহাস
সম্পর্কে বলেন।
বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেননি, তিনি একটি
উন্নত-সমৃদ্ধ সুখী বাংলাদেশ, তাঁর কথায়, ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্নও
দেখেছিলেন। তিনি বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ অর্থাৎ
দক্ষ, যোগ্য, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক, আধুনিক, শিক্ষিত সন্তান বা
মানবসম্পদ। আর তা সৃষ্টির জন্য থাকা চাই সত্যিকার মানুষ গড়ার শিক্ষা বা
সুশিক্ষা। আগামী দিন তোমরা সূর্যের মত আলো ছড়াবে,ফুলের মতো সৌরভ ছড়াবে
নির্মন করবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান এর সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় মহিলা
সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর মমতাজ বেগম; কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড.শামসুল
আলম; অধ্যক্ষ মো: জসিম উদ্দীন আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাউর রহমান
ভূইয়া