যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে গতবছর ‘তথ্য অধিকার আইনে’ সাংবাদিকসহ ২১ জন নাগরিক আবেদন করেছেন

ইয়ানূর রহমান : ‘তথ্য অধিকার আইনে’ যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আবেদন করে তথ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন আবেদনকারীরা। গতবছর হাসপাতাল পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকান্ড, আয়-ব্যয়, ওষুধ, চিকিৎসকদের উপস্থিতি এবং রোগী সেবা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে সাংবাদিকসহ ২১ জন নাগরিক আবেদন করেছেন। এর মধ্যে টিআইবিসহ তিনজন আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান করা হয়েছে।হাসপাতালের তথ্য অধিকার রেজিষ্টার খাতা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত ২১জন নাগরিক হাসপাতালের কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। এর মধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার চারজন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন এলাকার ১৭জন  সাধারণ নাগরিক রয়েছেন।আবেদনকারীদের অভিযোগ, সরকার জনগণের ক্ষমতায়ন ও প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি হ্রাস এবং সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুশাসনের জন্য তথ্য অধিকার আইন করেছেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা আনতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তথ্য প্রদানের গড়িমসি করছেন। যে কারণে নাগরিকরা তাদের কাঙ্খিত তথ্য ও সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।এদিকে আবেদনকারী ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, ‘গতবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতালের ওষুধসহ বিভিন্ন বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আবেদন করি। কিন্ত চার মাস অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ এখনও সেই সংক্রান্ত তথ্য দেননি। কেন দেননি সে সম্পর্কে কিছু জানাননি কর্তৃপক্ষ। আরও দুই একদিন অপেক্ষার পরে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানান।’অপরদিকে যশোর শহরের মিশন পাড়া এলাকার আব্দুল আজিজ অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছর মার্চে হাসপাতালের সেবা ও চিকিৎসকদের অফিসে আসা-যাওয়ার তথ্য চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু বছর শেষ হলেও কর্তৃপক্ষ সে তথ্য এখনও দেননি।’তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিআইবি যশোর জেলা শাখার এক বাহক জানান, ‘হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকান্ডের তথ্য চেয়ে গত বছর জুন মাসে একটি আবেদন প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়েছিলো। সেই আবেদনের তথ্য চলতি বছর বৃহস্পতিবার দুই জানুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি।’এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন আসার সাথে সাথে তথ্য প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারনে, সময় স্বল্পতার কারনে এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার ছুটিতে থাকায় যথা সময়ে আবেদনকারীকে তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে ২১ জনের মধ্যে তিনজন আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অতিদ্রুত তথ্য সরবরাহ করা হবে।’ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত হিসাবে কয়েক দিন হচ্ছে দায়িত্ব গ্রহন করেছি। সাবেক তত্ত্বাবধায়কের সময় কয়টি আবেদন পড়েছে বা কয়টি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে