মো. আখলাকুজ্জামান,গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা, নয়াবাজার ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। যেকোনো মূল্যে সড়ক-মহাসড়কে শৃংখলা ফেরাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ কথা জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে বাস-ট্রাক ঢুকলেই শ্রমিক সংগঠনের নামে করা হয় চাঁদাবাজি। এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলে আসার কারণে চাঁদাবাজি বৈধ বলেই এলাকাবাসী মনে করতো। চাঁদার টাকা না পেলে চালক হেল্পারদের সাথে অসদাচারন করাসহ গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটতো। স্থানীয় এক ট্রাকচালক জানান, চাঁদা না দিলে লাঠি রড দিয়ে মারতে তেরে আসে। বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়। শ্রমিকদের নাম ভাঙিয়ে টাকা উত্তোলন করা হলেও শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করা হয়না বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় মামলা হলে কাছিকাটা এলাকার কাউন্টার মাস্টার মৃত আব্দুল খালেক কালুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শামীম ও তার সহযোগি আবু বক্করের ছেলে গোলাম আলীকে গ্রেপ্তার করে নাটোর জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে শামীমসহ ছয়জনকে থানায় আটক করে আনা হয়। তারা চাঁদাবাজি করবে না মর্মে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু আবারো তারা চাঁদাবাজি করার কারণে মামলার প্রেক্ষিতে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।