নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সদর ভবানীগঞ্জ পৌর বাজারের প্রধান সড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদায় ভরে যাওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন জায়গা থেকে ইট-সুরকী ওঠে অসংখ্য খানাখন্দে পরিনত হয়ে সীমাহীন দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গত শনি ও রবিবার একটু বৃষ্টি হওয়ায় ওই সকল খানাখন্দে পানি জমে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা ও কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বলছেন,নির্বাচনী ইস্তেহার অনুয়ায়ী পৌরসভার সকল উন্নয়ন মূলক কাজ আমরা সময় থাকতেই বাস্তবায়ন করব। পৌর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী আফজাল ককেনজন জানান, দীর্ঘদিন পৌর বাজারের প্রধান সড়কের বেশ কয়েক জায়গায় ইট সুরকি উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হলেও সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই সকল গর্তে পানি জমে পৌরবাসীর চলাচলে মারাত্বক বিগ্ন সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি সামান্য বৃষ্টিপাতে পৌরবাজারের এই বেহাল দশা হওয়ার এই বিষয়টি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। ফেসবুকে মুকুল নামের এক ব্যাক্তি লিখেছেন,ভবানীগঞ্জ পৌরসভার রাস্তাটি এখন ডিজিটাল হয়েছে। এই ডিজিটাল রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া ছাড়া পায়ে হেটে চলা মুস্কিল। আরেকজন লিখেছেন পৌরসভার মেয়র দিন দিন ধনী হচ্ছেন। ধনী ব্যক্তিদের সাধারন মানুষের দূর্ভোগ দেখার সময় থাকে না । তাই মেয়রও এখন রাস্তাঘাটের দিকে নজর দিতে সময় পান না। কর্দময় ও যানজট যুক্ত ভবানীগঞ্জ বাজারের রাস্তাঘাটের এই বেহাল অবস্থার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এমপি’র দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। তারা বলছেন, আমরা আমরা এমপি এনামুলের মুখের দিকে চেয়েই এমন ব্যক্তিকে মেয়র বানিয়েছি। তাই বাজারের রাস্তাঘাট প্রশস্থ করা সহ যানজট ও জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য এমপি সাহেবের বিশেষ ভুমিকা রাখা প্রয়োজন। এছাড়া পৌরসভার অভ্যান্তরীন রাস্তাঘাটের কাজের মান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, এর আগে যে রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কাজের মান খুবই নি¤œমানের। যে কারণে বছর না ঘুরতেই ওইসব ড্রেন ও রাস্তাঘাট ব্যবহার ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অপর দিকে এই বাজারে জলাবদদ্ধতার কারণে বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতা সহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে যে সকল বিক্রেতারা যানবাহন যোগে তাদের কৃষিপন্য বাজারে নিয়ে আসেন তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানান, কাঁচা তরকারির ব্যবসায়ী আয়নাল হক। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী লিটন মিয়া সড়কের ভগ্নদশার কথা স্বীকার করে বলেন, গোটা পৌরসভার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য চার কোটি টাকা এবং ভবানীগঞ্জ বাজারের রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণের জন্য আরো দেড় কোটি টাকার টেন্ডার শেষ করে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে সাময়িক বিলম্ব হচ্ছে। তবে পৌরসভার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রকৌশলী লিটন মিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতীতে যা হবার হয়েছে। এবার এবার শতভাগ মান সম্পন্ন কাজ আদায় করা হবে। প্যানেল মেয়র দুলাহার হোসেন দুলু বলেন, আমরা খুব দ্র্রত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে চাই। কাজ বিলম্ব হওয়া নিয়ে আমরাও চাপের মুখে আছি। আশা করি আগামী মাস তিনেকের মধ্যে এসব কাজ আমরা শেষ করতে পারব।