বীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপেক্ষিত । নুতন বই পায় নি কোমলমতি শিশু ছাত্রছাত্রীরা।
উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে বড়কালা এল.এস.এস বে-সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ জিন্নাতুন নেচ্ছা জানান, ২৭ জুলাই চাহিদা প্রদান করা হলে ২২ ডিসেম্বর নুতন বই প্রদানের তারিখ দেওয়া হয়। নির্ধারিত তারিখে নুতন উত্তোলনের জন্য যথাস্থানে গেলে সহকারী শিক্ষা অফিসার পরিতোষ কুমার জানান বই প্রদানে শিক্ষা অফিসারের নিষেধ রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ এরশাদুল হকের সাথে সাক্ষাত করে আবেদনপত্র দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহন করেননি। নিরুপায় হয়ে ডাকযোগে শিক্ষা অফিসারের কাছে নুতন করে আবেদন করা হয়। তিনি অনত্র বদলী হয়ে চলে যাওয়ার কারনে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের কাছে আবেদন করা হলে তিনি জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন নিষেধ করেছে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান নুতন যোগদান করেছি কিছুই জানিনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিশু ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নুতন বই প্রদানের বিষয়টি আসস্থ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, ভোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদিউজ্জামান পান্না ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে ইউএনও’র কাছে নুতন বইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল কিন্তু বই না দিয়ে বলেছেন চলমান মামলা নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত বই দিবেন না। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। তবে ২০০৯ সাল হতে নিয়োমিত ক্লাস করা হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে ২০১৫ইং থেকে সমাপনি পরিক্ষা ডিআর ভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন শতভাগ পাশ করেছে।