রাজশাহী জেলাজুড়ে ২০১৯ সালে ২২৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২১টি নারী ও ১০৬টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসেিোয়শন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্র এবং নিজস্ব অনুসন্ধান থেকে নারী-শিশু নির্যাতনের এই চিত্র প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি।এসময় এসিডি জানায়, বছরজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৩০ জানুয়ারি পুঠিয়ার বানেশ্বরে শিশুর সামনে পেট্রোল ঢেলে মায়ের গায়ে দুর্বৃত্তদের আগুন, েেম মাসে পুঠিয়ায় ৭ বছরের শিশুকে জবাই করে হত্যা, ২৪ মে গোদাগাড়ীতে লাঠির আঘাতে ৩ মাসের শিশু হত্যা, ২৩ জুন মোহনপুরে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা। জেলায় এক বছরে ১২১টি নারী নির্যাতনের মধ্যে হত্যা ১১টি, হত্যার চেষ্টা ২৬টি, রহস্যজনক মৃত্যু ৩টি, ধর্ষণ ৯টি, ধর্ষণের চেষ্টা ৫টি, আতœহত্যা ২৬টি, আতœহত্যার চেষ্টা ১১টি, অপহরণ ৫টি, যৌনহয়রানী ১৭ টি, নিখোঁজ ৩টি, এসিড নিক্ষেপ ১ টি এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে ৪টি। জেলায় গত এক বছরে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ১০৬টি। এরমধ্যে শিশু হত্যা ৯টি, হত্যার চেষ্টা ৪টি, ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষণের চেষ্টা ১২টি, অপহরণ ২০টি, আতœহত্যা ১০টি, আতœহত্যার চেষ্টা ৫টি, যৌনহয়রানী ১৬টি, নিঁেখাজ ৭ টি ও অন্যান্য ঘটনায় ৬ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। জেলায় এক বছরে শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ২৫টি এবং মহানগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৮১ টি নির্যাতনের ঘটনা। এরমধ্যে বাগমারায় ১৬টি, বাঘায় ১৮টি, পুঠিয়ায় ১৩টি, মোহনপুরে ১২টি, চারঘাটে ৪টি, গোদাগাড়ীতে ৮টি, পবায় ১টি, তানোরে ১ টি এবং দুর্গাপুরে ৮টি শিশু নির্যাতনে ঘটনা ঘটে। আর ১২১টি নারী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ৪৮টি এবং নগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৭৩টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে মোহনপুরে ১০টি, বাগমারায় ১১টি, বাঘায় ১৮টি, পুঠিয়ায় ১২টি, গোদাগাড়ীতে ৭টি, পবায় ১টি, দুর্গাপুরে ৫টি, চারঘাটে ১টি এবং তানোরে ৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালিমা সারোয়ার বলেন, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দিন দিন নির্যাতন বাড়ছেই। সামাজিক সচেতনতার অভাব এবং আইনের শাসন নিশ্চিত না হবার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন কমছে না। এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।