উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণ করে চলচ্চিত্র কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চলচ্চিত্র সংসদ ও ম্যাজিক লন্ঠনের আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নাট্যব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই দাবি জানান। মানববন্ধটি রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় ম্যাজিক লন্ঠন’র সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকারের বসতবাড়ী সংরক্ষণ জন্য মানববন্ধন করতে হচ্ছে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রচলিত মতের বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরতেন। আমাদের শিখিয়ে গেছেন কিভাবে ভিন্ন মত পোষণ করতে হয়। এর আগেও ঋত্বিক ঘটকের অনেক বিষয়ে যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করা হয়েছে কিন্তু কোনটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এটিও কার্যকর করা হবে কি না তা নিয়েও সন্দিহানে ভোগছি। তবুও সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি টিকিয়ে রাখতে তার পৈত্রিক ভিটা সংরক্ষণ করা হক।
নাট্যকার ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, কষ্টের বিষয় যে, ঋত্বিক ঘটকের বাড়ীটিকে সংরক্ষণ না করে হোমিওপ্যাথিক কলেজ তৈরি করা হয়েছে। শুধু তার বাড়ী নয় অনেক ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিলীন করা হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি তার স্মৃতি ধরে রাখতে হোমিওপ্যাথিক কলেজ অন্যত্র সরিয়ে সেখানে চলচ্চিত্র কেন্দ্র স্থাপন করা হোক।
রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, যতদিন পর্যন্ত স্মৃতি সংরক্ষনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হচ্ছে ততদিন আমাদের দাবি চলমান থাকবে।
সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি মনে করি ঋত্বিক কুমার শুধু একা না এরকম যে স্মৃতিগুলো, স্থাপনাগুলো আমাদের জাতীয় জীবনকে পরিগঠন করতে পারে। সেগুলোকে ভুলে যাওয়া বা মুছে ফেলার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসাতে হবে। বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রহমান রাজু, বরেন্দ্র ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি সুলতানুল ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সেক্রেটারি রনজু হাসান, ছাত্র ইউনিয়ন সেক্রেটারি মোহাব্বত হোসেন মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদ সাকি প্রমুখ।