বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)। তবে বাংলাদেশে আংশিক সূর্য গ্রহণ ঘটবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের জলবায়ু মহাশাখা।
বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ সকাল ৯টা ২ মিনিটে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে বেলা ১২টা ৬ মিনিটে। আর সর্বোচ্চ সূর্যগ্রহণ সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় গতিপথ আরব সাগরের ওমানের মাদ্রাকাহের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে গ্রহণ শুরু হবে। সম্পন্ন হবে ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গতিপথ ফিলিপিন্স সাগরে গুয়াম দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে ১১টা ১৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। গতিপথ বাহরাইনের ইরায়ারাহ এর পশ্চিম দিক। আর কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে ১২টা ৫৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে, গতিপথ ফিলিপিন্স সাগরে ওয়েক দ্বীপের পশ্চিম দিকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ১১টা ১৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। গতিপথ মালাক্কা প্রণালীতে রুপাথ দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব দিক। এ সময় সর্বোচ্চ মাত্রা শূন্য দশমিক ৯৬৯।
বাংলাদেশে কখন: বাংলাদেশে সূর্যগ্রহণের একটি বিবরণ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবদুর রহমান জানান, ঢাকায় সকাল ৯টা ৪মিনিট ৪৮ সেকেন্ড সূর্যগ্রহণ শুরু সম্পন্ন হবে ১২টা ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ড। আর কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ২৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড।
ময়সনসিংহে ৯টা ৬ মিনিটে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে ১২টা ৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ৩১ মিনিট।
চট্টগ্রামে ৮টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে ১১টা ৫৮ মিনিটে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ২০ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড।
সিলেটে শুরু হবে ৯টা ৩৬ সেকেন্ডে, সম্পন্ন হবে ১২টা ৩ মিনিটে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড।
বরিশালে ৯টা ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে ১২টা ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ড। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ২৭ মিনিট ১৮ সেকেন্ড।
রাজশাহীতে ৯টা ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে ১২টা ১৪ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ৩৭ মিনিট ১২ সেকেন্ড।
রংপুরে ৯টা ১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে ১২টা ১৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ৩৭ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড।
সতর্কতা: খালি চোখে, বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ না দেখতে অনুরোধ করেছেন বিজ্ঞান জাদুঘরের। এছাড়া জাদুঘরের পক্ষ থেকে সোলার টেলিস্কোপ এবং সোলার ফিল্টারের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।