জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের নাটক সাজানোর মাধ্যমে বিডিআর বিদ্রোহের সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে সভাপতি ও মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে সাধারণ স¤পাদক ঘোষণা করা হয়েছে এমন দাবীতে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল কমিটির বিপরীতে পাল্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।এঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।তথ্যমতে, গত ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলের মাধ্যমে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির সভাপতি হিসেবে রঈস উদ্দিন রুবেল ও সাধারণ স¤পাদক হিসেবে তৌহিদুর রহমান লিটনের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।এঘটনার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি ও আলহাজ্ব আইয়ুব আলী মন্ডলকে সাধারণ স¤পাদক করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এসময় ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি
উপদেষ্টা কমিটিও গঠণ করা হয়।বিষয়টি স¤পর্কে জানতে চাইলে দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামানা আসাদ ও সাধারণ স¤পাদক আইয়ুব আলী মন্ডল জানান, এমপি শিমুল জেলা সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে তার ইচ্ছামত কাউন্সিলের নাটক করে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদকের নাম ঘোষণা করেছেন। অথচ যাকে
সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেই রঈস উদ্দিন রুবেল বিডিয়ার বিদ্রোহের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। অপরদিকে যাকে সাধারণ স¤পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাই এমন কমিটি উপজেলার ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা প্রত্যাক্ষাণ করে ওই দিন রাতেই পাল্টা কমিটি গঠণ করেছে যে কমিটিতে সকলের সমর্থন রয়েছে।
বিষয়টি স¤পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু জানান, ৮ ডিসেম্বর দলীয় নিয়ম-নীতি মেনেই কাউন্সিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবী করেন, রুবেল জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। অপর দিকে লিটনও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা। উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থনের মাধ্যমেই তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু আসাদের নেতৃত্বে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা বরং গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি স¤পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে তিনি ছিলেন না। তবে আসাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির বিষয়টি তিনি জেনেছেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামী থাকতে পারবে না-এটা প্রধানমন্ত্রীসহ দলীয় নির্দেশনা। তার পরও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত নেবেন যে কোন কমিটি পাশ করা হবে।