গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার আড়ালে ছিল সূর্য। যেমন কনকনে ঠাণ্ডা তেমনি ছিল কুয়াশার দাপট। শৈত্যপ্রবাহ কাটার পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দেখা মেলে সূর্যের। কিন্তু আজ মঙ্গলবার আবার কুয়াশাঢাকা সকাল পেল রাজধানীবাসী। তাপমাত্রা একটু বাড়লেও শীতের কামড়ও কম তীব্র নয়।
এদিকে, দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশে গত বুধবার রাত থেকে শীতের দাপট শুরু হয়। শীতের সেই দাপটে দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তরে তীব্র শীতের বেশ প্রভাব ছিল। ওই অঞ্চলে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে।এছাড়া আগামী শুক্রবার ও শনিবার আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সকালে রাজধানীতে ঘরের বাইরে বের হলেই চোখে পড়েছে কুয়াশার দাপট। একটু দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাটে রিকশাসহ যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। অফিস আদালত, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বা অন্য জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সাত সকালে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে ঘরের বাইরে এসে অপ্রস্তুত নগরবাসী মুখোমুখি হয়েছেন তীব্র কুয়াশার।
দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামীকাল বুধবার দেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া আগামী শুক্রবার ও শনিবার আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, চলতি মাসের আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারা দেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আবারও দেশের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং আগামী শুক্রবার ও শনিবার আরও একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এটি দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে, সকাল থেকে কুয়াশার কাছে যেন হার মেনেছে সূর্যের আলো। থেমে থেমে নগরবাসীকে ছুঁয়ে যাচ্ছে কুয়াশায় ঘেরা ঘন বাতাস। বায়ু দূষণের কারণে বিপর্যস্ত ঢাকা নগরবাসীরা অনেকেই কুয়াশার কারণে বাড়তি শ্বাসকষ্টের মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত বুধবার থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। যেটি গতকাল রোববারও অব্যাহত ছিল। মাঝখানে এক দিন দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও গতকাল পাঁচটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী ও পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত দেশের কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।