বীরগঞ্জে ৫ দিনেও সূর্যের দেখা মিলছে না শীতের তীব্রতায় নাকাল নি¤œ আয়ের মানুষ কনকনে শীতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা সারা েেদশের মত হীমালয়ের পাদদেশে শীতের প্রকোপে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। দুই-একদিনের মধ্যে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে তাপমাত্রা আরও নীচে নেমে আসবে।
হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিন-মুজুর ও খেঁটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হতে পারছেনা আর শীতের তীব্রতার প্রকোপ কমছে না । শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে বেড়েই চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজিবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না তারা।
ঘন কুয়াশায় দিনেও যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন আরও জানান, দুই-একদিনের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এতে তাপমাত্রা আরও নীচে নেমে আসবে।