রাজশাহী জেলাজুড়ে সারাদিন সূর্য না উঠায় শীতের প্রকোপ আরো বেড়েছে,শীতের তীব্রতা প্রতিদিনই বাড়ছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে ছোট শিশু ও খেটে খাওয়া মানুষজনসহ পশুপাখিরা। আজ শনিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮। এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও তার কিরণ বিকোশিত হতে পারেনি শীতল এই প্রকৃতিতে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আশপাশের কিছু দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টি সীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখাগেছে। পরিস্থিতি এমন যে ঘন কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে ততই কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। এর ওপর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা চারদিন ধরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তাপ না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষজন। গত কয়েক দিন ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষনহ পশুপাখিরা। ভোর ও সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ সড়ক। গ্রামগুলোতে শীতের প্রকোপ আরও বেশি। এছাড়া হঠাৎ করে শীত বাড়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে নবজাতক এবং বৃদ্ধ মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল হক বলছেন, হঠাৎই ঠান্ডা বেড়েছে। তাই হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। এজন্য আজ শীত একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা কমেনি। শনিবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে, কমেনি। আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। সাধারণত এই কুয়াশা কাটলে শীতের তীব্রতা বাড়ে। ফলে শীত আরও বাড়বে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।