সিলেটের বিশ্বনাথে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ইলিয়াছ আলী (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মিরেরগাঁও গ্রামের মৃত মনফর আলীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ দায়ের করা মামলা নং বিশ্বনাথ সিআর ৩৬৫/১৯।এই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে মঙ্গলবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৪ এ হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক সুমু চৌধুরী জামিন নামঞ্জুর করে ইলিয়াছকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবি দিলোয়ার হোসেন শামীম।আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদী শাবানা বেগম উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ২২জুলাই আমার মাধ্যমে ব্র্যাক ফাইন্যান্স থেকে ৫০হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন স্বামী ইলিয়াছ আলী। এই টাকা উত্তোলনের সময় ঋণ সংক্রান্ত ব্যাংকিং কাজের কথা বলে দুটি নন জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্টাম্পে আমার স্বাক্ষর নেন তিনি। এরপর থেকে যৌতুকের জন্যে আমার উপর শুরু করেন নির্যাতন। তার নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিলে আমার স্বামী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সেই স্টাম্প দুটিতে আমার নাম ব্যবহার করে জাল এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণাপত্র লিখে আমাকে প্রেরক সাজিয়ে ডাকযোগে তার নিজের নামে নিজেই চিঠি পাঠান। চিঠিটি বিনা জারিতে আমার নামে ফেরত এলে সেটি খুলে আমি রীতিমত হতভম্ভ হয়ে দেখি, আমার স্বামী সেই দুটি স্টাম্প ব্যবহার করে তালাকের নাটক সাজিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণা করেছেন।জানা গেছে, ইতিপূর্বে শাবানা বেগম তার স্বামী ইলিয়াছ আলীর বিরুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ যৌতুক নিরোধ আইনে আরেকটি মামলা (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৬৯/২০১৯) দায়ের করেন। সেই মামলায় জামিনে ছিলেন তিনি। এছাড়াও জাল এফিডেভিট করা হয়েছে উল্লেখ করে এফিডেভিটের প্রত্যয়নকারী ও প্রস্তুতকারী দুই আইনজীবির বিরুদ্ধে সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবরে অভিযোগও দিয়েছেন শাবানা বেগম।