শীতকালীন সবজি চাষ করে অধিক লাভবানে স্বপ্ন পূরণে আশাবাদী কালিহাতী উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। উপজেলার নারান্দিয়া, আউলটিয়া, ঝাটিবাড়ী, ব্রজগাতী, বর্তা, মিলকুরিয়া, বিলপালিমা, আড়ালিয়া, সালেংকা, দয়থা, সিলিমপুর, বাগুটিয়া, চকখিলদা, ধুনাইল, বেড়ীপটল, পাছজোয়াইর, আটাবাড়ী, হরিপুর, সহদেবপুর, টেরকীসহ প্রায় ৫০টি গ্রামে শীতকালীন সবজী আবাদ হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ব্রজগাতী গ্রামের জীবন মন্ডলের সাথে। তিনি জানান, এবার আমি ৬০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। ৪০ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি করে ভালোই লাভ হচ্ছে। এদিকে বর্তা গ্রামের আরেক কৃষক মজনু মিয়ার সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি শীতকালীন সবজির সাথে একই জমিতে হরেক রকমের শাক,সবজি এমনকি আখের চারাও রোপন করেছেন। ফুলকপির ফলন উঠানোর পর পর তারা আখের ফলন তুলে অধিক লাভবান হওয়ার আশাবাদী। সিরাজুগি, পুইশা, চুনস্টার, ফাইভস্টার, অটোম, আর্লিচ, হামাজুগি ইত্যাদি জাতের ফুলকপি রোপনের ৫০ থেকে শুরু করে ৭০ দিনে ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কপির চাষ করা যায়। এবার প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০ টাকা করে বিক্রি করা যাচ্ছে আর বাধাকপি ২৫-৩০ টাকা পিচ বিক্রি করে ভালো লাভের আশা করছি। অল্প দিনে ফলন পাওয়ায় অনেক কৃষক মৌসুমে ২ বার ফুলকপির ফলনও তুলে থাকেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার বলেন, এ বছরের ৬২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজী আবাদ হয়েছে। ফলন খুব ভালো। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আশাকরি আগামীতে আবাদ আরোও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগন ফুলকপি ও বাধাকপির মতো অন্যান্য উচ্চ মূল্যের ফলন আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন প্রতিনিয়ত। এ পর্যন্ত অর্জিত সবজীর মধ্যে ৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি অর্জন হয়েছে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি উপজেলায় দুটি করে নিরাপদ সবজি গ্রাম ও একটি করে ফলন গ্রাম প্রতিষ্ঠায় যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তাতে শীতকালীন সবজির আবাদ বৃদ্ধিতে আরোও বেশি সহায়ক হবে বলে আশা করছি। ইতিমধ্যে কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ব্রজগাতী গ্রামে একটি “নিরাপদ সবজি গ্রাম ও কোকডহরা ইউনিয়নের বলধী গ্রামে আরেকটি নিরাপদ সবজি গ্রাম” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাকরাইল গ্রামে “ফলগ্রাম” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কালিহাতী উপজেলায় ২ টি নিরাপদ সবজি গ্রাম ও একটি করে ফলন গ্রাম প্রতিষ্ঠায় সবজির আবাদ আরোও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা রাখছি।