শফিক আল কামাল (পাবনা) ::: ১৮ ডিসেম্বর পাবনা হানাদার মুক্ত দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটিকে পালনের জন্য জেলায় প্রথম বারের মত বিজয় র্যালী বের করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতি কর্মীবৃন্দ। সকাল সারে ১১টায় শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা, ব্যানার, প্লাকার্ড হাতে নিয়ে জয় বাংলা ¯েøাগানে বিজয় র্যালী করেন মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতি কর্মী ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বিজয় র্যালীটি শহর প্রর্দক্ষিণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্বরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ দূর্জয় পানায় পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় সকল বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারন বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও পাবনা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন, জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন সন্টু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুর রহমান বরুণ, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী জব্বার, সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট পাবনার সভাপতি আবুল কাশেম, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
১৯৭১ সালে তৎকালিন রেসকোর্স ময়দানে ভারতীয় মিত্রবাহীনির কাছে পাকহানাদার বাহীনি আত্মসমর্পণ দলীলে স্বাক্ষর দিয়ে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। সেই সময়ে পাবনার সাঁথিয়া ও সুজানগরে তুমুল যুদ্ধ চলছিল । ১৮ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্রবাহীনির কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাবনা হানাদার মুক্ত হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংস্কৃতি কর্মীবৃন্দ হানাদার মুক্ত দিবসটিকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় সরকারি এবং বে-সরকারি ভাবে এই দিনটিকে পালন করা হয় সে লক্ষে সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবি জানানো হয়।