সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মহান বিজয় দিবস

সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

রাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাবিতে বিজয় দিবস উদযাপন
রাশেদ রাজন :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে।

সোমবার সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্যদ্বয় প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এরপর সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বিশ্ববিদ্যালয় গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে (বদ্ধভ‚মি) পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের খেলাধুলা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান করেন উপাচার্য আব্দুস সোবহান।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ মেলা। এই আনন্দ মেলায় ছিল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন। দুই উপ-উপাচার্য এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মো. আবুল হাসান চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সকাল ১০টায় ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের কুচকাওয়াজ। এতে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য। এরপর সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য।
বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট, ফুটবল ও হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে দোয়-মোনাজাত এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৬টা ৩০মিনিটে মিনিটে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসের কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৭টা ৩০মিনিটে রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল প্রশাসন, রাবি প্রেসক্লাব, শাখা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টা ৩০মিনিটে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাবি ইউনিট কমান্ডের ও কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতি এবং নিজ নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা থাকে।

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী কাগইলে বিভিন্ন কর্মসূচী মধ্যদিয়ে ১৬ই-ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে। কাগইল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গদল এবং উপজেলা নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন’সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন হাইস্কুল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে কাগইল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গদল উদ্যোগে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন গাবতলী থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক আশরাফ হোসেন, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আগানিহাল বিন জলিল তপন, আবু আছাদ, রফিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান হিলু, সবুজ, মশিউর, শীষ, চঞ্চল, মিনহাজুল, নজমল, শাহীন, বেলাল, দুলু, পাইলট, সোবাহান, আজাহার, বক্কর, রায়হান, মিজানুর, হেফজুল, পুটু, দুলু, যুবদল নেতা শফিকুল, লুৎফর, সুলতান, হামিদ, হারুন, রুস্তম, মোনারুল, মাহবুব, খলিল, শামীম, সিজার, দুলাল, শিপন, রিপন, পাতা, রুহুল, মেহেদুল, ছাত্রদল নেতা জাফর, রাকিব হাসান, বাবু, তুহিন বাবু, সিহাŸ, আরিফ, নুর আলম, সাহস, শামীম, সজিব, রাজিন, মাসুম ও সোহাগ প্রমূখ। কাগইল হাইস্কুল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়। অপরদিকে, নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ৩১৪০) উদ্যোগে কাগইল বন্দরে শীতার্থ ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি গাবতলী উপজেলা নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ১ম শ্রেণী ঠিকাদার হারুন অর রশিদ বাবু। সাংবাদিক আল আমিন মন্ডলের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন সরকার, সংগঠনের নেতা হারুনুর রশিদ মোল্লা, মিলন হোসেন, ইয়াছিন আলী, কবি রাসেল আহম্মেদ, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ জ্জামান, রনি কুমার ও রতন কুমার’সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

কাগইল বাজার বনিক
সমিতি উদ্যোগে বিজয়
দিবস পালন
১৬ই-ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বগুড়ার গাবতলী কাগইল বাজার বনিক সমিতির উদ্যোগে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে হাইস্কুল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল হক স্বপন, সাইফুল ইসলাম, তারিক হাসান, বাপ্পী কুমার মহন্ত, সুরুজ আলী, সংগঠনের নেতা আব্দুল বারী, পিন্টু, আজমল হোসেন শীষ, সজল, স্বপন, রনি, মেহেদুল, মিলন, ইনতাজ, বিদ্যুৎ, এনামুল, সবুজ ও পাপরুল প্রমূখ।

মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল গত সোমবার সুপ্রভাতে ২১ বার তপোধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির সূচনা করা। এছাড়া শহীদ মিনারে শহীদ বীর সোনাদের ফুলের শ্রদ্ধা প্রদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, র‌্যালী, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, দোয়া মাহ্ফিল, তবারক বিতরণ, পুরষ্কার বিতরণ, বিজয় সংগীত পরিবেশন। দিবসটি পালনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুপ্রভাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ বার তপোধবনির মধ্যে দিবসটির সূচনা শুরু করা হয়। এরপর সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রর্দশন অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে ছালাম গ্রহণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান। অপরদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গসংগঠন, বিএনপি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। পরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিকে বেলকা মজিদ পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান আকন্দ এর নেতৃত্বে একটি র‌্যালী বেলকা ইউনিয়নের পল্লী এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ফরিদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত

ফরিদপুরে ২দিন ব্যাপি মহান বিজয় দিবস বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন কর্মসুচি পালিত হয়। কর্মসুচির মধ্যে ছিল
১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় চিত্রাকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সকাল ৬.৩৪ টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস এর শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, সকাল ৭ টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, সকাল ৮.৩০টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন গোলাপ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমদ আলী এবং ওসি এস.এম আবুল কাশেম আজাদ। সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়, সকাল ১০.৩০টায় শরীর চর্চা প্রদর্শন ও ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, বাদযোহর/সুবিধাজনক সময়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা করা হয়, সুবিধা জনক সময়ে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়, বিকেলে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ অংশ গ্রহণ করেন, সন্ধ্যা ৫.৪৫টায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমদ আলী, বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যপক গোলাম হোসেন, পৌর মেয়র খ. ম কামরুজ্জামান মাজেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস প্রমুখ, ৭ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, এছাড়া ফরিদপুর উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপজেলা কেন্দ্রিয় মসজিদে এক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বিজয় দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে। দুর্বৃত্তরা মঞ্চ, অতিথিদের জন্য চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর ও গুড়িয়ে ফেলে। এতে
নিন্দা জানিয়ে জেলা ঐক্য ন্যাপ সভাপতি বাবু প্রবীর কুমার দেব সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম নাঈম এক বিবৃতিতে বলেল , যারা এই জঘন্য স্বাধীনতা বিরুদ্ধী সন্ত্রাসী র্কমকান্ড যারা জড়িত তাদের কে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল শক্তি এক হয়ে অপশক্তি বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো জন্য আহবান জানান ।
বার্তা প্রেরক, আবুল কালাম নাঈম, সাধারন সম্পাদক , জেলাঐক্য ন্যাপ , ব্রাহ্মবাড়িয়া

এস এম আলম,পাবনা, ১৬ ডিসেম্বর :

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাবনা রাইফেল ক্লাবে শুটিং প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয়। সকালে শুটিং প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম । এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস (পুলিশ সুপারপদোন্নতিপ্রাপ্ত), রাইফেল ক্লাব এর সাধারন স¤পাদক এডঃ আব্দুল হান্নান, যুগ্ম স¤পাদক(প্রশাসন ও দপ্তর) শামসুর রহমান খান মানিক , যূগ্ম স¤পাদক (ক্রীড়া) এডঃ নাজমুল হোসেন শাহীন,কোষাধ্যাক্ষ মোসাদ্দেক আলী খান খসরু, পাবনা রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, বাংলা টিভি জেলা প্রতিনিধি ও অন লাইন নতুন চোখ পত্রিকার প্রকাশক সাংবাদিক এস এম আলম, শুটারবৃন্দ ।

পাবনায়’’কুল ম্যারাথন’’-সাইকেল চালনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কুল ম্যারাথন সাইকেল চালনা প্রতিযোগিতা। স্কয়ার টয়লেট্রিজে লিমিটেডের পৃষ্টপোষকতায় মোজাহিদ ক্লাব এন্ড লাইব্রেরী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সহকারী মহাব্যস্থাপক আব্দুল হান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামান সুইট। ৫৭ জন প্রতিযোগী জেলার কাশিনাথপুর থেকে মোজাহিদ ক্লাব পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সাইকেল চালনা করেন। এদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন মেহেদি হাসান, ২য় ঈমন হোসেন এবং ৩য়হন রাব্বি হোসেন। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন পাবনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।

পাবনা প্রতিনিধি:

যথাযোগ্য মর্যাদায় মধ্যদিয়ে প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ০১ মিনিটে পাবনা জেলা পুলিশ প্যারেড ময়দানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।
এরপর দিবসের প্রথম প্রহর ও প্রত্যুষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় পাবনা ৫-আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি , জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি ও সংবাদিক , রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এ সময় স্মৃতিস্তম্ভে নানা পেশাজীবি মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে দাাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

এস এম আলম, পাবনা : পাবনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। বিশেষ অতিথি সংরক্ষিত মহিলা এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি ,জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান রেজাউর রহিম লালসদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ মোশারফফ হোসেন ,জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান ,সহ জেলা ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

পাবনায় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন

এস এম আলম, পাবনা
পাবনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সকল অতিথিবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

সুজানগরে ৩‘শ মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা প্রদান

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৪৮তম মহান বিজয় ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত সোমবার উপজেলার ৩‘শ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্যরাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মজিদ সরদার, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ। শেষে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ

৪৮তম মহান বিজয় ও জাতীয় দিবসে গত সোমবার পাবনার সুজানগরে ১৭০জন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দুপুর ১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামন শাহীন ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। শেষে অতিথিদ্বয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন।

সুজানগরে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান

৪৮তম মহান বিজয় দিবসে গত সোমবার পাবনার সুজানগরে গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটক বিরাঙ্গনা জমিলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সুজানগর উপজেলার উদ্যোগে রাত ৮টায় সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। উক্ত জোটের আহবায়ক ও সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, সিনিয়র সহকারী সচিব আনোয়ার হোসেন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুবায়েদ হিলে­াল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উক্ত জোটের সদস্য পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডঃ আহসান হাবিব হাসান ও সুজানগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টার প্রমুখ। পরে সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরসহ ২৩জন গুণীজন ব্যক্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে লেখা মঞ্চ নাটক বিরাঙ্গনা জমিলা মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উক্ত জোটের সদস্য আনোয়ার পারভেজ ও দেলোয়ার হোসেন।

রাজাকাররা আর বাংলাদেশে
ক্ষমতায় আসতে পারবে না
-এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, রাজাকাররা আর বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
রাজাকাররা আর বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না একথা উল্লেখ করে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, যতদিন লাল সবুজের পতাকা থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকবে। আর বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের ঠাঁই হবে না। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্বধর্না ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, পৌর মেয়র মো. মোশারফ হোসেন বাবুল, ওসি সাকিলা পারভীন, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কালীপদ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মো. নুর ইসলাম নুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শামিম ফিরোজ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির।
এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহন কারী কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন কারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল।

রাবিতে বিজয় দিবসে পথশিশুদের পাশে দাড়ালো স্বজন
রাশেদ রাজন:
“শিশু নিকেতন” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আশে-পাশির সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় পথশিশুদের পড়ানো হয়। যে শিশুগুলোর জীবন-যাপন নির্ভরকরে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগীতার ওপর। আর তাই বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বঞ্চিত শীতার্তদের মাঝে শতাধিক কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরন করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন স্বজন।
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংগঠনটি র‌্যালি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফ্রি বøাড গ্রæপিং ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহিরের সঞ্চালনায় উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ারুল কবির ভ‚ঁইয়া বলেন, স্বজন ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আজ পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে রক্তদানের মত মহৎ পেশার কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন সময়ে শীতবস্ত্র বিতরনের পাশাপাশি সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি স্বজনের এই কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আহবান করেন এবং স্বজনের ধারাবাহিক সফলতা কামনা করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বজনের উপদেষ্টা ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শেরেজ্জামান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ওয়ারদাতুল আকমাম, প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর মো. সালাউদ্দিন, শিশু নিকেতনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহা. জুলফিকার আলী ইসলাম ও প্রফেসর ড. এম. ফয়জার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবা সরকার, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মো.সালেহ মাহমুদ,বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

শফিক আল কামাল (পাবনা)
শ্রদ্ধা ভালবাসায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পাবনায় মহান বিজয় দিবস-২০১৯ উদ্যাপন করা হয়। ৩১বার তপোধ্বনির মাধ্যমে পাবনা পুলিশ প্যারেডে মহান বিজয় দিবস ২০১৯’র শুভ সুচনা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্বরণে নির্মিত ‘‘দূর্জয় পাবনা’’ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ নাদিরা ইয়াসমিন জলি (এমপি), জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক সার্বিক শাহেদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদন্নতি প্রাপ্ত) গৌতম কুমার বিশ্বাস, বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এ ছাড়াও জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ পাবনা জেলা শাখা, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, যুবলীগ পাবনা জেলা শাখা, যুব মহিলালীগ পাবনা জেলা শাখা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সাল গ্রæপ, রতœদ্বীপ রিসোর্ট, পাবনা মেডিকেল কলেজ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, জেলা নির্বাচন অফিস, শহীদ এম মনসুর কলেজ, পাবনা সরকারি কলেজ, পাবনা চেম্বার্স অব কর্মাস এ্যান্ড ইন্ড্রাসট্রিজ, পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ, শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ, পাবনা কলেজ, পাবনা জেলা স্কুল, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাধানগর মজুমদার একাডেমী স্কুল এ্যান্ড কলেজ, শহীদ আহম্মদ রফিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইমাম গযযালী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পাবনা পাথফাইন্ডার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, রোটারী ক্লাব অব পাবনা, এপেক্স ক্লাব অব পাবনা, পাবনা ড্রামা সার্কেল, সাহিত্য ও বিতর্ক ক্লাব পাবনা, এলজিইডি, গণপুর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন, কলেজ, স্কুল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। পাবনা’র ৯টি উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সেচ্ছা-সেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেন।

এছাড়াও পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন ষ্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচ-কাওয়াজ ও সালাম প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিত, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান, নৃত্যানুষ্ঠান, রক্তদান কর্মসুচি, বিনামুল্যে ঔষধ প্রদান এবং বীর শহীদদের স্মৃতিচারণ বিষয়ক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়।

ভোরে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় স্থাপিত বিজয়স্তম্ভে পু®প স্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, পলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সস্তান কমান্ডসহ আপামর জনসাধারণ বিজয়স্তম্ভে পু®পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহরের কান্দিভিটাস্থ দলীয়
কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পু®পমাল্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়া শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ষ্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ও স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের শারিরীক কসরৎ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও পু®প স্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। লাখো শহীদদের ত্যাগের বিনিমিয়ে রক্তে রঙিন লাল আর সবুজে ঘেরা বাংলাদেশ হয় শত্রুমুক্ত। দেশের জন্য আত্মদানকারী বাংলাদেশের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রমহারা মা বোনদের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ স্মরন করছে স্বশ্রদ্ধ চিত্তে । সেই ত্যাগী মহিয়ান শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি বিন্রম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
দিনের প্রথম প্রহরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, জেলা কমান্ড/ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান সমিতি, জেলা পুলিশ সুপার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পৌরসভা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, দুদক রাঙামাটি, যুগ্ম পরিচালক এনএসআই,গণর্পূত াধিদপ্তর রাঙামাটি, সদর উপজেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুাটর শিল্প কর্পোরেশন, মৎস্য উন্নয়সন কর্পোরেশন, পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স, রাঙামাটি, রাঙামাটি প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি, ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, রাঙামাটি যান্ত্রিক পরিবহন বহুমুখি সমিতি, টংগ্যা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্কাউটস, রাঙামাটি, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থা, রাঙামাটি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ, বনরুপা উত্তর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি,স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ রাঙামাটি, এনজিও ফেডারেশন, বিক্রয় প্রতিনিধি এসোসিয়েশন, অনলাইন বøাড ব্যাংক জীবণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গ সংগঠন, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, উদ্ভাস রাঙামাটি সকাল ৭টা পর্যন্ত রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া রাঙামাটির পুরো শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে পুরো রাজপথ শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে পুষ্পমাল্য হাতে যাত্রারত রয়েছে না রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, জেলার সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পেশাজীবি সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা(এনজিও), রাঙামাটি জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি বিন্রম শ্রদ্ধার সহিত তাদের নিজনিজ সংগঠনের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রারত দেখা গেছে ।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাঙামাটির মারী ষ্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজের সালাম যৌথবাবে গ্রহন করে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। সালাম গ্রহন শেষে যৌথভাবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে রাঙামাটি জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিসপ্লে উপভোগ করেন। এসময় রাঙামাটি মারী ষ্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী
স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরদীতে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা,পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন,আওয়ামীলীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেলবিভাগ,জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি,পিজিসিএলসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোকসজ্জাসহ বিস্তারিত কর্মসুচি পালন করা হয়। সকালে এসব প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বিজয়স্তম্ভে পুষ্প মাল্য অর্পন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসএম স্কুল মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা,শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা প্রদান ও শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। পরিবার ওপরে আওয়ামীলীগ, বিএনপি,যুবদল,যুবলীগ,শ্রমিকলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নাম
মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে– শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

ইয়ানূর রহমান : মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ভাষা সংগ্রামীসহ সব শহীদের প্রতি গভীরভাবে সম্মাননা জানান সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি এ সময় বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর থেকে তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলেছে। কিন্তু সেই অপচেষ্টাকারীরাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। আর বঙ্গবন্ধু রয়েছেন চিরঞ্জীব হয়ে।

আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন আজ বিশ্বে আমাদের সম্মানজনক পরিচিতি দিয়েছে। দেশের অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত হতো, যদি বিএনপি-জামায়াত নেতিবাচক রাজনীতি না করত। তাই আমি বলব, শহীদদের ত্যাগ ও স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত সবার। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে শার্শা উপজেলা চত্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের সভাপতিত্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।

এদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র মহা-পরিচালকের পক্ষে যশোর-৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক

লে. কর্ণেল সেলিম রেজা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন- উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুর রহমান সিকদার, সহ স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শার্শা
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শার্শায় বিজয় দিবস পালিত হল। সোমবার মধ্যরাতে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। পরে বেনাপোলের কাগজপুকুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পতাকা উত্তোলনের পর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকরি সংগঠনগুলো শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় শার্শা ষ্টেডিয়ামে সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন জাতীয় পতাকা উত্তলোন করেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুচকাওয়াজ প্রদর্শন। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন, গার্লস গাইড, স্কাউট, শিশু পরিবারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র -ছাত্রীরা। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন, শার্শা থানার ওসি আতাউর রহমান। পরে সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সকাল ১০টায় বেনাপোল পৌর এলাকায় আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি অংশ গ্রহন করেন। দুপুর ১২টায় বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবস কেন্দ্রিক আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় ২টি খেলায় তিনি অংশ নেন এবং প্রতিযোগীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করেন। বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের ক্রীড়া প্রতিযোগীতার নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল। সেখানে অংশ গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন।

এদিকে, শার্শার বিভিন্ন স্থানে বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনূষ্ঠিত হয়। শার্শার কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ আহমেদ টিঙ্কু ও সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে চালিতাবাড়িয়া বাজারে ১৬ ডিসেম্বর সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়।