রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক দুরুল হুদাকে গ্রেফতার করা হলেও চাকরী বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বহিষ্কার না করায় উপাচার্য কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট পরিচালকের কাছে এই দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠান ওই শিক্ষক।
চিঠিতে ভুক্তভোগীর মা বলেন, গত ২০ অক্টোবর তার দায়ের করা মামলায় থেকে জেলে আটক ছিলেন স্কুলের শিক্ষক দুরুল হুদা। কিন্তু চাকরী বিধি (বিএসআর পার্ট ১ এর ৭৩ নং বিধি) অনুযায়ী জেলে আটককৃত আসামী গ্রেফতার তারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত বিবেচিত হবে এবং কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত ফরমান আদেশ জারি করবেন। কিন্তু দুরুল হুদার সাময়িক বরখাস্ত না করায় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।
এই অবস্থায় তিনি উপাচার্যের কাছে আসামীকে চাকরীতে যোগদান থেকে বিরত থাকাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর রাবি শিক্ষকের নিজ বাসভবনে রাত আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটে মেয়েকে পড়াতে যান ওই শিক্ষক। পড়া শেষে বাড়ী দেখার নাম করে স্টোর রুমে নিয়ে যায় মেয়েকে। সেখানে বিভিন্ন অশালিন আচরণ করে। পরে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুরুল হুদা বাসা থেকে দ্রæত সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রোববার বিকেলে মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ।