মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে সোমবার সকালে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ি-বেতুয়ান উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ রানা ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ ঘটনার পর থেকে উপজেলার সর্বত্র এনিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালিত হয়। ভাঙ্গুড়া উপজেলা শহরে একটি মাত্র স্মৃতিসৌধ থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল কলেজের শহীদ মিনারে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরই প্রেক্ষাপটে সোমবার সূর্যোদযয়ের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের পুষ্পস্তবক অর্পণ শুর হয়। এতে উপজেলার প্রত্যন্ত দিলপাশার ইউনিয়নের বৃলাহিড়ীবাড়ি-বেতুয়ান উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের শিক্ষক মাসুদ রানা ও আলমগীর হোসেন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এদিন কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কিন্তু এসময় শিক্ষক মাসুদ রানা জুতা পায়ে দিয়েই শহীদ মিনারের বেদীতে ওঠেন। এনিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে মাসুদ রানা ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করে সাহস পায়নি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে কলেজ শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, ‘তাড়াহুড়া করে বেদীতে উঠতে গিয়ে জুতা খোলার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এজন্য আমি ভীষণ লজ্জিত। এসময় তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান।’
এই বিষয়ে বৃলাহিড়ীবাড়ি-বেতুয়ান উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মাসুদ রানা অত্যন্ত ভদ্র ও ন¤্র স্বভাবের মানুষ। সে ভুলবশত জুতা পা দিয়ে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠে পড়েছিল। এজন্য সে অনুতপ্ত। তাই বিষয়টি ক্ষমার চোখে দেখা হচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।