রাজশাহীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে নগরীর বিভিন্ন শহীদ মিনার গুলোতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ ও নীরাবতা পালন করা হয়। মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারা। সোমবার সকাল ৯টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইডের অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এছাড়া সকালে নগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন,বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। র্যালিটি নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে লীগের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বিজয়ের প্রথম প্রহর সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে প্রথমেই রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি,ওয়ার্কার্স পার্টি,জাসদ,বাসদ,সাম্যবাদী দল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, জাতীয় যুবজোট, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রæপ,কমিউনিস্ট পার্টি, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসা¤প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু।