পাবনার
ভাঙ্গুড়ায় নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করার
অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোপালপুর
গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে আনিসুর রহমান (২০)। এ ঘটনায় শুক্রবার
সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের
করেছেন। পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে।
ধর্ষিতার
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আনিসুর রহমান ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে গত
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে এক
আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এক পর্যায়ে আনিসুর ওই স্কুলছাত্রীকে
জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন
গিয়ে দু’জনকে আটক করে। পরে এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক
কুমার ঘোষকে বিষয়টি জানায়। তখন অশোক কুমার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই
স্কুলছাত্রী ও ধর্ষককে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চালায় ওই ইউপি
চেয়ারম্যান। শালিসে স্কুলছাত্রীর পরিবার বিয়ের দাবি জানায়। অপরপক্ষে
ধর্ষকের পরিবার টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায়। পরে উভয় পক্ষের
মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ধর্ষককে আটকে রেখে পুলিশে খবর
দেয় এবং ধর্ষিতাকে থানায় মামলা দায়ের করতে বলে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ
ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।এদিকে
পরদিন শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা
মামলা দায়ের করতে থানায় অবস্থান করে। এসময় ধর্ষকের আত্মীয় উপজেলার
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুনুর রশিদ মামলা না নিতে
থানায় গিয়ে তদবির শুরু করে। এতে পুলিশ মামলা না নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে
সারা দিন পার করে।পুলিশের মামলা না নেয়ার কারণ সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে
বিভিন্ন অজুহাতে পুলিশ এড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশের গড়িমসির বিষয়ে
ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করেন। পরে
সন্ধ্যায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
দিলপাশার
ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন,
‘সকাল আটটা থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আমরা থানায় অবস্থান করি। কিন্তু থানা
মামলা না নিয়ে নানা অজুহাতে দিন পার করে। অবশেষে আমরা বাধ্য হয়েই
স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করি। পরে সন্ধ্যায় থানা পুলিশ মামলা
রুজু করে।’
এদিকে
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে
ওসি (তদন্ত) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।পরে ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুজ্জামান সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।